১৪ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৬ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

খুলনা বিভাগে বিজয় দশমীতে কিছু কিছু পূজা মন্ডপে বিসর্জন হয়নি মা দুর্গার

admin
প্রকাশিত অক্টোবর ৮, ২০১৯
খুলনা বিভাগে বিজয় দশমীতে কিছু কিছু পূজা মন্ডপে বিসর্জন হয়নি মা দুর্গার

Sharing is caring!

 

এম আকাশ, খুলনা বিভাগীয় ব্যুরোঃ
আজ মঙ্গলবার শুভ বিজয়া দশমী। গত পাঁচদিন নানা উদযাপন শেষে অধিকাংশ পূজামন্ডলেই এখন বিষাদের ছায়া। সোমবার মহানবমী পালনের পর আজ বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ এই ধর্মীয় উৎসবের। হিন্দু শাস্ত্র মতে, দুর্গা মা এবার এসেছেন ঘোড়ায়, যাবেনও ঘোড়ায়। দুর্গার ঘোড়ায় চড়ে মর্ত্যে আসার অর্থ ‘ছত্রভঙ্গস্তুরঙ্গমে’ মানে রাজনৈতিক উত্থান-পতন, সামাজিক বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা, দুর্ঘটনা, অপমৃত্যুর শঙ্কা। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আরো বিশ্বাস করেন-‘অরুণ আলোর অঞ্জলি নিয়ে আনন্দময়ী মা উমাদেবীর আগমন ঘটে। টানা পাঁচ দিন মৃন্ময়ীরূপে মণ্ডপে মণ্ডপে থেকে আজ ফিরে যাবেন কৈলাশে স্বামী শিবের সান্নিধ্যে।’ তবে খুলনা বিভাগের কিছু কিছু পুজামন্ডপে আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেও বিসর্জন দেয়া হয়নি মা দুর্গার, ভক্তদের মাঝে এখনো বিদ্যমান থাকবে কয়েক ঘন্টা কিংবা দিন দুয়েক। বিভিন্ন পুজা মন্ডপ পরিদর্শনে এর কারন হিসাবে উঠে এসেছে ঠাকুর এবং পুজা উদযাপন কমিটির নিকট হতে ভারী দিন এবং একাদশীর কথা। তবে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে প্রশাসনিক দায়িত্বপালন আজই শেষ, তারা ফিরে যাবেন নিজ নিজ স্টেশনে। বাকি দিন গুলোর দায়িত্ব পুজা উদযাপন কমিটিকেই নিতে হবে, সেক্ষেত্র আগ্রহ প্রকাশ করছে কমিটিগুলো। সনাতন বিশ্বাসে ধর্মের গ্লানি আর অধর্ম রোধ, সাধুদের রক্ষা, অসুরের বধ আর ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতি বছর দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা ভক্তদের মাঝে আবির্ভূত হন। শুভ বিজয়ার মাধ্যমে জাগতিক প্রাণীকে শোনান সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের বাণী।