Sharing is caring!

আব্দুল করিম, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ-চট্টগ্রাম টাইগারপাস হিলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনের উদ্যোগসহ নির্দিষ্ট ডিজাইনে শুধু তাঁর ছবি দিয়ে পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ছাপানো, আলোকসজ্জা, শোভাযাত্রা, আলোচনা, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়ানুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। নগরীর টাইগারপাসে আজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভায় মেয়র এ কথা জানান। অক্টোবরে কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, বঙ্গবন্ধু জনসভা ছাড়াও চট্টগ্রামে অনেকবার এসেছেন। রাজনৈতিক কর্মসূচি ছাড়াও অনেক সামাজিক অনুষ্ঠানে এসেছেন। অনেকের সঙ্গে আত্মার সম্পর্ক ছিল। এখানে অনেক স্মৃতি জাতির পিতার। পায়ে হেঁটে, রিকশায় চড়ে অনেক জায়গায় গেছেন তিনি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর পোস্টার, ব্যানারে জাতির পিতা ছাড়া আর কোনো ছবি থাকবে না। যদি ছবির সুযোগ রাখা হয়, তবে সন্ত্রাসীরাও ছবি দিয়ে পোস্টার বের করবে। এ ব্যাপারে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। সভায় বক্তব্য দেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামসুদ্দোহা, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, চসিকের সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া। থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রামের (টিআইসি) পরিচালক, নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার প্রমুখ। একেএম রেজাউল করিম টাইগারপাস পাহাড়ে বাংলা ও ইংরেজিতে ‘ওয়েলকাম টু চট্টগ্রাম’ লেখার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর সর্বোচ্চ ম্যুরাল স্থাপনের প্রস্তাব দেন।
এ প্রসঙ্গে মো. জাফর আলম বলেন, ‘অনেকের ধারণা, পাহাড়ের ওপর কিছু করা যায় না, গোনাহের কাজ। পাহাড়কে বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। সারা দুনিয়াতে দেখেছি, ৮০ ডিগ্রি ঢালুতে তারা পাহাড় রাখে না। পাহাড়কে সাসটেইনেবল করে সুন্দর বাড়ি নির্মাণ করে। যেখানে পাহাড়ে কিছু করা হয় না সেটি টেকেনি। পাহাড়ের প্রোটেকশন দরকার। পাহাড়কে ব্যবস্থাপনার মধ্যে আনতে হবে। বাটালি হিলে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল করলে সমুদ্র থেকে দেখা যাবে, নগরীর অনেক জায়গা থেকে দেখা যাবে। পাহাড় ব্যবহার করতে হবে। চট্টগ্রামে পাহাড়ের সবচেয়ে বড় ব্যবহার হচ্ছে কোর্ট বিল্ডিং। চক্ষু হাসপাতাল, এশিয়ান উইম্যান ইউনিভার্সিটিতে পাহাড়কে সুন্দরভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।