Sharing is caring!

ওমর শাকিল,জেলা প্রতিনিধি(লক্ষ্মীপুর):: দেশের বিভিন্ন জেলার প্রবেশ পথে জেলা গেট চোখে পড়লেও নারিকেল সুপারি সয়াবিন আর ইলিশের জেলা লক্ষ্মীপুরের প্রবেশ পথে এ
রকম কোন গেট চোখে পড়ে না। যদিও
লক্ষ্মীপুরের সাথে দুদিকে নোয়াখালী
এবং চাদঁপুর জেলার সীমান্ত সংযোগ
রয়েছে। তাছাড়া লক্ষ্মীপুরের ওপর দিয়ে
দেশের ২১ জেলার মানুষ প্রতিনিয়ত
যাতায়াত করে থাকে। এতে অনেক সময়
ভিন্ন জেলার যাত্রীদের বলতে শোনা
গেছে যে লক্ষ্মীপুরবাসী গেট দিয়ে অতিথিকে স্বাগতম জানায় না। জেলা গেট রাষ্ট্রীয় আতেথিয়তার মধ্যে পড়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৮৪ সালের ২৮
ফেব্রুয়ারি তারিখে লক্ষ্মীপুর জেলার জন্ম
হয়। এর বহু পরে নোয়াখালীর সীমান্ত
এলাকা লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজারের ব্রিজের পাশে ছোট আকারে লক্ষ্মীপুর জেলার প্রধান একটি জেলা গেট নির্মান করা হয়। যেটা পথচারীদের তেমন চোখে পড়তো না বলে জানিয়েছেন
ওখানকার স্থানীয় কয়েকজন। এরপরে দায় সাড়া গোছের আরেকটি জেলা গেট
নির্মাণ শুরু হলেও অজ্ঞাত কারণে তা আর
শেষ হয়নি। এখন সেটা ঝোপ জঙ্গলে
পরিপূর্ণ।
জেলা গেট বিষয়ে জানতে চাইলে
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও দৈনিক লক্ষ্মীপুর
সমাচার পত্রিকার সম্পাদক জাকির
হোসেন ভূইঁয়া বলেন, জেলা গেটের
মাধ্যমে অন্যজেলার মানুষকে স্বাগতম
জানানোর একটা রাষ্ট্রীয় আতেথিয়তার
রেওয়াজ হলেও লক্ষ্মীপুর জেলার জেলা
গেট না থাকায় এটা জেলাবাসীর জন্য
লজ্জার বিষয়।
অন্যদিকে অধ্যাপক কামরুল হাসান সবুজ
বলেন, জেলা গেটের মাধ্যমে জেলার
প্রধান সাংস্কৃতিক পরিচয় অন্য জেলার
মানুষদের সামনে সহজে বুঝিয়ে দেয়া যায়।
অধ্যাপক কামরুল লক্ষ্মীপুর জেলার সাথে
দুটি জেলার সংযোগ স্থানে দুটি জেলা
গেট নির্মাণের দাবি জানান।