Sharing is caring!

ওমর শাকিল,জেলা প্রতিনিধি(লক্ষ্মীপুর)::
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোঁরা, আবাসিক এলাকা ও বাজারের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে বিরেন্দ খালে। এতে খালটি ভরে যাওয়া ছাড়াও দূষিত হচ্ছে পানি।
প্রশস্ততা ও গভীরতা কমে বর্তমানে অযত্ন-অবহেলায় খালটি
আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে।ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আশপাশের বসবাসকারীদের।জানা গেছে, বিরেন্দ খালটি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌর শহরের মধ্য দিয়ে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ হয়ে মেঘনায় মিলিত হয়েছে। একসময় ঢাকা থেকে মেঘনা নদী হয়ে ছোট বড় ট্রলারে করে নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল আনা নেওয়া করতেন এই অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা। রামগঞ্জ থানার সামনের ঘাটে ভিড়ত ট্রলারগুলো। এছাড়াও কলাবাগান,মৌলভীবাজার সোনাপুর উত্তর বাজার এলাকায় সরকারীভাবে নির্মিত ঘাটে চাঁদপুর থেকে ট্রলারে করে আনা মালামাল নামানো হতো। খালটি দিয়ে মালামাল আনানেওয়া সহজতর হওয়ায় উপজেলার সোনাপুর বাজারটি ‘রাজধানী’ হিসাবে পরিচিত ছিল এ অঞ্চলের ব্যবসায়ী স্থানীয়দের কাছে।এছাড়াও এই খালের পানি দিয়ে কৃষকরা তাদের সোনার ফসল ফলাতেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, কয়েক বছর পূর্বেও এখানকার ব্যবসায়ীরা ট্রলারে করে খালটি দিয়ে মালামাল আনানেয়া করতেন। বর্ষাকালে খালের পানি দিয়ে তাঁরা গোসল ও
গৃহস্থালির কাজ করতেন।তাছাড়া ফসল ফলাতেন খালটির
পানি দিয়ে। কিন্তু ময়লা-আবর্জনা ও বর্জ্যে ভরাট হয়ে যাচ্ছে খালটি। দূষিত হয়ে পড়েছে পানি। এছাড়া খালের বিভিন্ন অংশে মাছের ঘের ও অবৈধভাবে
দোকানঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে স্বাভাবিক পানি চলাচল
বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। সংস্কার আর খননের অভাবে
বর্ষাকালেও আগের মতো পানি আসে একসময়ের খরস্রােতা এ বিরেন্দ খালে। বর্তমানে এটি
মরা খালে পরিণত হয়েছে। তাইতো খালটি পুনরুদ্ধারের জন্য সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা
করেন স্থানীয়রা।
রামগঞ্জ পৌরসভা মেয়র আবুল খায়ের পাটোয়ারী বলেন, খালটি খনন ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের
উদ্যোগ কয়েকবারই নেওয়া
হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন কারনে তা সম্ভব হয়নি। তবে খুব শিগ্রই
খালটি উদ্ধার ও পরিস্কারের জন্য
পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান
বলেন, বিরেন্দ খালের
মালিকানা নিয়ে জেলা পরিষদ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরোধ
রয়েছে। বিরোধ নিরসন হলে
খালটি সংস্কার ও খননে ব্যবস্থা
নেওয়া হবে।
তবে খুব শিগ্রই খালটি সংস্কারে উদ্যোগ নিবেন বলে জানান
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো.
শাহজাহান।