Sharing is caring!

মোঃ ইকবাল মোরশেদ ::
– স্টাফ রিপোটার।
কুমিল্লার ‘বাঘা’ শরীফ আবারো চ্যাম্পিয়ন হলেন চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী আবদুল জব্বার স্মৃতি বলীখেলায় টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলেন কুমিল্লার মোঃ শরীফ, যিনি ‘বাঘা’ শরীফ নামে পরিচিত। ২৫ এপ্রিল (শুক্রবার) লালদীঘির ঐতিহাসিক মাঠে অনুষ্ঠিত ফাইনালে তিনি একই এলাকার রাশেদকে হারিয়ে শিরোপা জয় করেন। ৩১ মিনিটের শ্বাসরুদ্ধকর দ্বৈরথ শেষে শরীফের কৌশলগত বিচক্ষণতা তাকে বিজয়ী করে তোলে।
বলীখেলার রিংয়ে এই দিন বিকাল ৪টা থেকে শুরু হয় প্রতিযোগিতা। এতে ৯০ জন বলী অংশ নেন, যারা বয়সে এবং অভিজ্ঞতায় ভিন্ন। সবার চোখ ছিল ফাইনালের দিকে, যেখানে দুজন কুমিল্লার বলী—শরীফ এবং রাশেদ মুখোমুখি হন। এই আসরে শরীফের কৌশল এবং দক্ষতা রাশেদকে হারিয়ে তাকে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন করে তোলে।
অথচ গত বছরেও এই দুজন ফাইনালে একে অপরের বিপক্ষে লড়েছিলেন। তবে এবার ৩১ মিনিটে ফলাফল আসে, যেখানে শরীফ রাশেদকে ধরতে সক্ষম হন। রাশেদ নিজেকে রক্ষা করতে রিংয়ের রশি ধরে ছিলেন, কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে শরীফ বিজয়ী হন।
মেলায় ছিল হাজারো দর্শক, যারা ঢোলের বাদনে, চিৎকারে, এবং উত্তেজনায় ফাইনাল উপভোগ করেন। ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিযোগিতা উপভোগ করতে নানা বয়সী মানুষ—ছাত্র, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, এমনকি সত্তরোর্ধ্ব মফিজ উদ্দিনও উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন উপস্থিত ছিলেন। শরীফ তার দ্বিতীয়বারের চ্যাম্পিয়ন হওয়া প্রসঙ্গে বলেন, “এবার একটু বেশি ঘাম ঝরাতে হয়েছে, কিন্তু এই জয়ে আমি আনন্দিত।” তিনি ৩০ হাজার টাকা পুরস্কার পান, আর রাশেদকে দেওয়া হয় ২০ হাজার টাকা।
এটি ছিল ১১৬তম আসর, যেখানে ঐতিহ্য, প্রতিযোগিতা, এবং ঐক্যের এক অপূর্ব দৃশ্য দেখল চট্টগ্রামবাসী।
বলীর খেলা ছাড়াও লালদীঘি মাঠ ও আশপাশের এলাকায় তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা ছিল এক বিপুল উৎসব। এখানে বিভিন্ন ধরনের গৃহস্থালির পণ্য, শিশুদের খেলনা, গাছপালা, আসবাবপত্র এবং অন্যান্য সামগ্রী বিক্রি হচ্ছিল। বিশেষ করে ঝাড়ু এবং তালপাতার হাতপাখা ছিল নারী-পুরুষের মধ্যে জনপ্রিয়। মেলা শেষে শনিবার এই প্রাণবন্ত উৎসবের সমাপ্তি হবে।