১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

আখাউড়ায় ৩৪ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি 

admin
প্রকাশিত আগস্ট ২২, ২০২৪
আখাউড়ায় ৩৪ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি 

Sharing is caring!

আখাউড়ায় ৩৪ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট: ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ভারী বর্ষণ ও ভারতের পাহাড়ি ঢলে সীমান্তবর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে।

বুধরাত (২১ আগস্ট) রাত থেকে পানি বেড়েই চলেছে। এতে আখাউড়া উত্তর, দক্ষিণ, মোগড়া ও মনিয়ন্দ এই চার ইউনিয়নের ৩৪টির বেশি গ্রাম পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচশ পরিবার। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধানি জমি, শাক-সবজির জমিসহ বিভিন্ন মাছের ঘের।

স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত থেকে আখাউড়ায় ভারী বর্ষণ শুরু হয়। সকাল থেকে বন্দরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খাল দিয়ে ভারত থেকে তীব্র বেগে পানি ঢুকতে থাকে। একপর্যায়ে স্থলবন্দর, বাউতলা, বীরচন্দ্রপুর, কালিকাপুর, বঙ্গেরচর, সাহেবনগরসহ অন্তত ৩৪টির বেশি গ্রামে পানি ঢুকে পড়ে। ভেঙে যায় গাজীরবাজার এলাকার অস্থায়ী সেতু। এর আগে মঙ্গলবার খলাপাড়া এলাকায় হাওরা নদীর বাঁধের কিছু অংশ ভেঙে পানি ঢুকতে শুরু করে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুরুল আলম জানান, হাওরা নদী ও জাজী গাংসহ বিভিন্ন নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে। তা অতিক্রম করলে আরও নতুন করে এলাকা প্লাবিত হতে পারে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজালা পারভীন জানান, দুর্গতদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসন থেকে ত্রাণ বরাদ্দ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্গতদের মাঝে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা জানান, পাহাড়ি ঢলে ১৯৫ হেক্টর শাক সবজির জমি, ১২২ হেক্টর আমনের বীজতলা, ৩৪৪০ হেক্টর রোপা আমন ধানের জমি পানির নিচে তলিয়ে আছে। দ্রুত পানি সরে গেলে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা কম। তবে পানি দীর্ঘস্থায়ী হলে ক্ষয়ক্ষতি বাড়তে পারে। এক সপ্তাহ পর ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হবে।