Sharing is caring!

আব্দুল করিম চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ-
চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌরসভার পশ্চিম আলমপুর গহীন পাহাড়ে সরকারী জায়গা দখল করে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নির্মাণাধীন দালান উচ্ছেদ করেছে ইউএনও।শনিবার (৩১ আগষ্ট)সকাল সাড়ে দশটার সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন আলমপুরের পশ্চিমে হাওর টিলায় এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।এসময় নির্মাণাধীন একটি ইটের দালান গুড়িয়ে দেওয়া হয়। জানা যায়, মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা কিছু রোহীঙ্গা জনগোষ্ঠী ক্যাম্পে না থেকে দেশের বিভিন্ন উপজেলাতে আশ্রয় নিচ্ছে। তন্মধ্যে হাটহাজারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকাতেও তারা ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস করছে। সরকারের নিষেধ সত্যেও একটি স্থানীয় চক্র তাদের জায়গা করে দিচ্ছে বসবাস করার জন্য। হাওর টিলাতেও সরকারী খাস জাগয়া দখল করে রোহিঙ্গাদের কাছে জায়গা বিক্রয় করে দিচ্ছে। নির্মাণাধীন উচ্ছেদ ঘরের রোহিঙ্গা বাসিন্দাও এক জনৈক ব্যক্তি থেকে ৮ শতক জায়গা ক্রয় করেছে ৯০ হাজার টাকা দিয়ে। তাও কোন কাগজপত্র দেয়নি।কিন্তু বিক্রয়কারী জনৈক ব্যক্তি তা অস্বীকার করেন। দীর্ঘদিন একটি ভূমিদস্যু চক্র বিভিন্ন রোহিঙ্গাদের এনে বসবাস করার স্থান সহ নানা সুযোগ সুবিধা করে দিচ্ছে। এমনকি জন্ম সদনপত্র সহ পাসপোর্টও তৈরী করে দেয়। গত কিছুদিন আগেও মনছুরাবাদ পাসপোর্ট অফিসে এক রোহিঙ্গা নারী পাসপোর্ট করতে আসলে তাকে আটক করে কর্তৃপক্ষ। তার স্বীকারোক্তিতে জানা গেছে, পাসপোর্ট তৈরী করে দিতে টাকার বিনিময়ে ধলই ইউপি এলাকার এক বাসিন্দা জড়িত, তাকেও আটক করা হয়েছে। পৌরসভার বিভিন্ন এলাকাতে ভাড়া বাসায় শতাধিক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বসবাস করছে বলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান। অভিযান পরিচালনা করার সময় ইউএনও’র সাথে সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সম্রাট খীসা, থানার এ এস আই নুরুল আমিন সহ সঙ্গীয় ফোর্স উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন প্রতিবেদককে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী পাহাড়ী জায়গা দখল করে দালান তৈরী করেছে। সত্যতা যাচাই করে তা উচ্ছেদ করা হয়েছে। তাদের সরকার কর্তৃক ক্যাম্পে ফিরে যেতেও অনুরোধ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান এখানে একটি ভূমিদস্যু চক্র তাদের কাছে সরকারী জায়গা বিক্রয় করছে।একদিকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী প্রতারিত হচ্ছে ও অন্যদিকে সরকারী জায়গা বেদখলে চলে যাচ্ছে। প্রশাসন তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও তিনি যোগ করেন।