১৯শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাবি জাতের আশ্বিনা আমের মূল্য নিয়ে, বেকায়দায় আম ব্যবসায়ীরা

admin
প্রকাশিত আগস্ট ২৯, ২০১৯
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাবি জাতের আশ্বিনা আমের মূল্য নিয়ে, বেকায়দায় আম ব্যবসায়ীরা

Sharing is caring!

 

ফয়সাল আজম অপু, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

বিগত কয়েকবছর আমের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পুরো চিত্র উল্টো। মৌসুমের শেষেও জমজমাট চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা আমের বাজার। ব্যবসায়ীরাও চাহিদা মতো দাম পেয়ে খুশি। ফলে ব্যস্ত সময় পার করছেন আম ব্যবসায়ীরা।

সাধারণত চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের মৌসুম শেষ হয় আগস্ট মাসের শুরুর দিকে। এবার আশ্বিনা আমের যত্ন নেয়ায় বাজারে আম পাওয়া যাবে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত।

বুধবার (২৮ আগস্ট) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কানসাট বাজারে আম বিক্রি হয়েছে মণ প্রতি ৪ হাজার থেকে শুরু করে সাড়ে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। মৌসুম শুরুর মত এখনও পুরো বাজারে রয়েছে আম ভর্তি সাইকেল ও ভ্যানে ভরা। ব্যবসায়ীদের কেনা বেচায় মুখর পুরো বাজার।

সেলিমাবাদ এলাকা হতে বাজারে এক ভ্যান (৮ মণ) আম নিয়ে বিক্রির জন্য এসেছিলেন আবু জাওয়াদ দাদখান নামে এক বাগানি। তিনি বলেন, গত বছরগুলোতে আমের দাম না পাওয়ায় আমের তেমন যত্ন নেয়া হয়নি। এবার আমের ভাল দামের আসায় প্যাকেট করা হয়। তাদের বাগানের আম আরও প্রায় ১৫ দিন বাগানেই রাখা যাবে।

তিনি আরও বলেন, প্রতি মণ আশ্বিনা আম বিক্রি করেছেন সাড়ে ৪ হাজার টাকায়। সময় যতই পার হবে আমের দাম ততই বাড়বে বলে আশা করেন এই বাগানি।

বেলাল বাজার এলাকার বাগান মালিক জসিম জানান, এখনও তার বাগানে প্রায় ১০০ মণ আম রয়েছে। সে আম বিক্রি করে গত কয়েক বছরের দাম পুষিয়ে নিতে পারবেন। তিনিও বুধবার কানসাট বাজারে আম আনেন দুই ভ্যান। সবগুলো আম বিক্রি করেছেন সাড়ে ৪ হাজার টাকায়।

তবে বেশ কয়েকজন আম বাগানি অভিযোগ করে বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাজারে সয়লাব হয়ে গেছে ভারতীয় চোষা আমে। ভারতীয় আমের আমদানি বেড়ে যাওয়ায় কমে এসেছে দেশীয় আমের মূল্য। যদি ভারতীয় আম আমদানি না হত-তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রতি মণ আশ্বিনা আম বিক্রি হত ১০ হাজার টাকায়। তারা আমের মৌসুমে ভারতীয় আম আমদানি বন্ধে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন বলেও জানান।