১৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৩শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

চট্টগ্রাম খুলশীতে গ্রিড স্টেশনে সার্কিট ব্রেকারে ত্রুটি

admin
প্রকাশিত আগস্ট ২৭, ২০১৯
চট্টগ্রাম খুলশীতে গ্রিড স্টেশনে সার্কিট ব্রেকারে ত্রুটি

Sharing is caring!

 

আব্দুল করিম চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ-

চট্টগ্রাম খুলশি গ্রিড সাবস্টেশনে সার্কিট ব্রেকারের জটিলতার কারণে দিনভর বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কবলে পড়েছে পুরো নগরী। (২৬আগস্ট) সোমবার ভোরে খুলশী গ্রিড সাবস্টেশনের একটি সার্কিট ব্রেকার নষ্ট হলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলে। সন্ধ্যার পরে নতুন ব্রেকারটি পুনঃস্থাপন করা হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খুলশী গ্রিড সাবস্টেশনের একটি ৮০/১২০ এমবিএ ট্রান্সফরমারের সেকেন্ডারি ব্রেকার ভোর ৬টায় নষ্ট হয়ে গেলে পুরো নগরীতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়। সঞ্চালন লাইনের এ জটিলতার কারণে নগরীতে পিডিবির বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগগুলোর আওতাধীন গ্রাহকদের ৩-৪ ঘন্টা করে লোডশেডিংয়ের কবলে পড়তে হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশ লি. (পিজিসিবিএল) এর একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘চট্টগ্রাম মহানগরীতে অফপিক আওয়ারে ৫শ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকে। তন্মধ্যে খুলশী গ্রিড স্টেশন থেকে আসে ১৬০ মেগাওয়াটের মতো। ব্রেকার নষ্ট হয়ে গেলে খুলশী গ্রিড থেকে ১৬০ মেগাওয়াটের স্থলে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা সম্ভব হয়। অবশিষ্ট ৬০ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হয়েছে।’
এ ব্যাপারে পিজিসিবিএল চট্টগ্রামের ডিজিএম তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার দাশ বলেন, ‘ভোরে ব্রেকারটি নষ্ট হয়েছে। আমরা নতুন করে সেটি পরিবর্তন করে দিয়েছি।’ পিডিবি দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার প্রবীর কুমার সেন বলেন, পাওয়ার গ্রিড সাবস্টেশনে যান্ত্রিক জটিলতার কারণে একটু সমস্যা হয়েছিল। তবে পুরো নগরী অন্ধকারে ছিল না। কিছু কিছু এলাকায় লোডশেডিং হয়েছে। তবে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে গেছে।