Sharing is caring!

আব্দুল করিম চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ-
বাঁশের চিকন কঞ্চির মাথায় কেউ ছোট পাউরুটির টুকরো, আবার কেউ কলা বা কাঁচা মাংস হাতে আকুল স্বরে ‘বাবা’ সম্বোধন করে ডাকছে। মানুষের আহ্বানে সাড়া দিয়ে পানির ওপর মাথা তুলছে তারা, গ্রহণ করছে খাবারও। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এভাবে দর্শনার্থীদের আবদার মেটাচ্ছে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী মাজার সংলগ্ন দিঘীতে থাকা কচ্ছপগুলো।
মাজারের বিশাল দিঘীতে বর্তমানে প্রায় ২ থেকে ৩শ কচ্ছপ রয়েছে, যাদের গড় বয়স ১শ বছরের চেয়েও বেশী হবে বলে জানান স্থানীয়রা। এই দিঘীতে কচ্ছপের পাশাপাশি রয়েছে গজার মাছ। স্থানীয়ভাবে এই কচ্ছপ ও মাছ যথাক্রমে ‘মাজারী’ ও ‘গজারী’ নামে পরিচিত।
দেশি-বিদেশি পর্যটকরা চট্টগ্রামে এলেই দেখে যান বড় বড় কচ্ছপগুলোকে। ডাক শুনেই মাথা উঁচু করে একসঙ্গে ছুটে আসে গোটা বিশেক কচ্ছপ। খাবার খাইয়ে দিয়ে পিঠে হাত বুলিয়ে দেয়, সালামও জানায় মাজারে আসা ভক্তরা। কচ্ছপগুলোর পেট ভরে গেলে হেলেদুলে পানিতে ডুব দিয়ে হারিয়ে যাচ্ছে। এ দৃশ্য দেখতে ভীড় জমায় শিশুরাও।
বায়েজিদ বোস্তামীর বিশেষ প্রজাতির কচ্ছপগুলো এখন বিলুপ্তপ্রায়। বিশ্বের কোথাও এই জাতের কচ্ছপের সন্ধান মিলে না। ২০০৪ সালে দিঘীতে বিষ ঢেলে এদের নির্বংশ করার চেষ্টা করেছিল দুর্বৃত্তরা। তবে জাতীয় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পদক্ষেপে সে যাত্রায় রক্ষা পায় অনেকগুলো কচ্ছপ।