Sharing is caring!

আব্দুল করিম চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ-
ন্যায্যমূল্য না পেয়ে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের হাতে প্রায় বিনামূল্যে চামড়া তুলে দেয়ার খবর পাওয়া গেছে কয়েকটি উপজেলা থেকে। বাঁশখালী, চকরিয়া, রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড় , সহ চট্টগ্রাম এর আশ পাশের এলাকা গুলোতে গরুর চামড়া সর্বোচ্চ ২শ’ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছাগলের চামড়া বিনামূল্যেও না নেয়ায় অনেকে মাটিতে পুঁতে ফেলছেন।
কোরবানিতে জবাই করা পশুর চামড়া সংগ্রহ করছেন চট্টগ্রামের আড়তদাররা। আজ সোমবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যা পর্যন্ত চট্টগ্রামসহ আশপাশের এলাকা থেকে গরু, মহিষ ও ছাগলের প্রায় এক লাখ চামড়া সংগ্রহের কথা জানিয়েছেন তারা।
বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার সমবায় সমিতি সূত্রে জানা গেছে, সমিতিভুক্ত ১১২ জন এবং এর বাইরে ১৫০ জন আড়তদার এবার চট্টগ্রাম অঞ্চলে কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করছেন।
এ বছর সাড়ে ৫ লাখ চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আরও দুই থেকে তিন লাখের মতো লবণ দেয়া কাঁচা চামড়া আড়তে এসে পৌঁছাবে বলে তারা আশা করছেন।
নগরীর আতুরার ডিপো এলাকায় গড়ে ওঠা চামড়ার আড়তে কাঁচা চামড়া সংগ্রহের পর লবণ দিয়ে সংরক্ষণের কাজ চলছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ বছর চামড়ার দর নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি বর্গফুট ৪৫-৫০ টাকা। খাসির চামড়া সর্বোচ্চ ৫০ ও সর্বনিম্ন ৪৫ টাকা। ঢাকার বাইরে এই দর ৪০ টাকা।
কাঁচা চামড়া আড়তদার সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল কাদের বলেন, ‘প্রতি বর্গফুট লবণছাড়া চামড়া ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় সংগ্রহ করা হচ্ছে। ছোট প্রতি পিস চামড়া ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা, মাঝারি আকারের চামড়া ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকায় কিনছি। এছাড়া মহিষের চামড়া প্রতি বর্গফুট ২০-২৫ টাকা, ছাগলের চামড়া প্রতি বর্গফুট ১০ টাকায় কেনা হচ্ছে।’ ঢাকার ব্যবসায়ীদের কাছে ন্যায্য দামে বিক্রি করতে না পারলে লোকসানের আশংকা প্রকাশ করেন তিনি।
গত দুই বছরে চট্টগ্রামের কয়েকজন আড়তদারের প্রায় ৩০ কোটি টাকা ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে আটকা পড়েছে জানিয়ে কাঁচা চামড়া আড়তদার সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল কাদের বলেন, ‘চট্টগ্রামে পর্যাপ্ত ট্যানারি না থাকায় ঢাকার ট্যানারি মালিকরা তাদের ইচ্ছেমতো দর নির্ধারণ করে দেয়। দুই বছর আগে কোরবানির চামড়া বিক্রির সব টাকা এখনও পাননি অনেক আড়তদার।