১৭ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২২শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

রাজনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের ঘোষিত কমিটির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

admin
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১৯, ২০২২
রাজনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের ঘোষিত কমিটির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

Sharing is caring!

 

মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ রাজনগর উপজেলা শাখার ৭১ সদস্য বিশিষ্ট আওয়ামীলীগের ঘোষিত কমিটি মিথ্যা তথ্য পরিবেশনের মাধ্যমে অগঠনতান্ত্রিক ভাবে গঠন ও জামাত বিএনপির মদদ পুষ্ট লোকদের অন্তরর্ভূক্তির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে রাজনগর উপজেলার তৃর্নমূল নির্যাতিত আওয়ামীলীগের নেতা কর্মী। শনিবার(১৭ ডিসেম্বর) রাজনগর উপজেলা পরিষদ চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বক্তারা বলেন, ১৩ ডিসেম্বর রোজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাজনগর উপজেলা শাখার ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, ইলেক্ট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। মৌলভীবাজার জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক কর্তৃক অনুমোদিত ও স্বাক্ষরিত প্রকাশিত কমিটি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্রের ৪৭ ধারার সম্পুর্ণ পরিপন্থি। বিগত দীর্ঘ ২৫ বছর পর কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর রাজনগর উপজেলার ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে মিছবাহুদ্দোজা ভেলাই মিয়া সভাপতি ও মিলন বখত সাধারন সম্পাদক করে ২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষনা করেন। ২০২০ সালের ৩ মার্চ সভাপতি মিছবাহুদোজা ভেলাই মিয়া মৃত্যু বরন করেন। সদ্য প্রকাশিত রাজনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের পূর্নাঙ্গ কমিটিতে সভাপতি আজাদ মিয়া চৌধুরী(ইমানী) কোন প্রক্রিয়ায় নির্বাচন করা হয়েছে তা তাদের বোধগম্য নয়। সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন রাজনগর উপজেলা ১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি পুনঃগঠনের লক্ষ্যে কাউন্সিলরের মাধ্যমে গঠনের জন্য জেলা কমিটিকে নির্দেশ দেন। জেলা প্রতিনিধি সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিকট মিথ্যা তথ্য দিয়ে উপজেলা তৃর্নমূলের মতামতকে উপেক্ষা করে জামাত শিবির ও বিএনপি মদদ পুষ্ট ব্যক্তির সমন্বয়ে কমিটি অনুমুদন দেওয়া হয়েছে। সদ্য প্রকাশিত কমিটি ২৭ মে ২০২১ সালে অনুমোদন দেখানো হয়েছে। এই তারিখের পর ২০২১ সালে ইউনিয়ন নির্বাচন, দলীয় বিভিন্ন অনুষ্টানে কোন ব্যাক্তি পদ পদবীর পরিচয় দেননি।জেলা আওয়ামী লীগের স্বাক্ষরিত কমিটির প্যাডে ২০২১ সালের ২৭ মে উল্লেখ থাকলেও প্রায় দেড় বছর পর এই কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে। ওই তারিখে কমিটি গঠন হয়ে থাকলে বর্তমান সভাপতি উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও দলের সাধারণ সম্পাদকের সভাপতিত্বে শোক দিবসসহ একাধিক দলীয় কর্মসূচী পালন করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন তারা। সদ্য ঘোষিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক সেলিম গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় নৌকা প্রতীক হারান এক সময় জামাত শিবির রাজনীতিতে জড়িত থাকায়। কমিটির সদস্য আকমল হোসেন তার পিতা একটি হত্যা মামলার সাজা প্রাপ্ত আসামী ও তার পিতা বিএনপি সরকারের গ্রাম সরকার ছিলেন, যে কারনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হন।এছাড়া এই কমিটিতে বিএনপি-জামায়াত, জাসদ, আওয়ামী লীগ নেতাদের নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত পরিবারের লোকজনকে রাখা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়। সদ্য প্রকাশিত কমিটি বিলুপ্ত করে আওয়ামী লীগের নির্যাতিত ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি করার দাবি জানানো হয়। এসময় বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্য মো. শাহজাহান খান, ইউপি চেয়ারম্যান ও সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্য টিপু খান, আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্য সাদিকুর রহমান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,রাজনগর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তি চক্রবর্তী, নিবারণ ঘোষ ভজন, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কায়েস আহমদ, ছয়ফুল আলম,আবু মিয়া, শওকতুজ্জামান, ফজর আলী, গোলাম কিবরিয়া মিলন সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্য লুৎফুর রহমান লেবু, এম. সোহেল আলম প্রমুখ।