১৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

পটুয়াখালী ছোট বিঘাই বিদ্যুৎ স্পস্ট হয়ে এক ব্যাক্তির মৃত্যুতে এলাকাসীর মধ্যে গুঞ্জন লাশ দাফন

admin
প্রকাশিত আগস্ট ১০, ২০১৯
পটুয়াখালী ছোট বিঘাই বিদ্যুৎ স্পস্ট হয়ে এক ব্যাক্তির মৃত্যুতে এলাকাসীর মধ্যে গুঞ্জন লাশ দাফন

Sharing is caring!

এস আল-আমিন খাঁন, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোট বিঘাই ইউনিয়নের মাটিভাঙ্গা গ্রামস্থ মোঃ খালেক সিকদার এর বাড়িতে ০৯/০৮/১৯ ইং তারিখ শুক্রবার সকাল আনুমানিক ৮.০০ ঘটিকার সময় বিদ্যুৎ স্পস্ট হয়ে এক ব্যাক্তির মর্মান্তিক মৃত্যু হয় বলে খবর পাওয়া যায়।

ঘটনার অনুসন্ধানে সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে,ছোট বিঘাই ৫ নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা মোঃ খালেক সিকদার (৫০), তার নিজ বাসভবনের ব্যবহৃত বিদ্যুৎ লাইন ব্যবহার করে অটোরিকশা (ইজিবাইক) চার্জের বানিজ্য করেন এবং সেই বিদ্যুৎ লাইনে স্পস্ট হয়েই মৃত্যু বরন করে একই গ্রামের বাসিন্দা মোখছেদ শরীফ (৫৪)। এব্যাপারে জানতে চাইলে মোঃ খালেক সিকদার পত্রিকার প্রতিনিধিকে বলেন, ঘটনা সত্য মৃত্যু মোখছেদ শরীফ আমার এখানে তার অটোরিকশা চার্জ করত এবং ঘটনার আগের রাতেও সে তার অটোরিকশাটি চার্জ করার জন্য এখানে রেখে যায় পরের দিন সকালে আনুমানিক ৮.০০ টার সময় আমার বাড়ির কাজের লোক তাকে ঘটনাস্থলে পড়ে থাকতে দেখেন এবং তাকে ধরতে গিয়ে সে নিজেও শর্ট খেয়ে চিৎকার করলে শুনে আমরা ছুটে এসে মোখছেদ শরীফ (৫৪) কে অটোরিকশার উপরে পরে থাকা অবস্থায় দেখতে পাই এবং তার বাম হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক শর্টের আঘাতে পুরে গেছে আর বুজতে পারলাম সে বেচেঁও নেই। এমত অবস্থায় তার পরিবারের লোকজন খবর দিলে মৃত্যু ব্যাক্তির ছেলে,মেয়ে,স্ত্রী সহ নিকটস্থ স্বজনরা এসে লাশ তাদের নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়।বিষয়টি থানা পুলিশ কোথাও জানানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মোঃ খালেক সিকদার ও তার ভাই গনি সিকদার বলেন,আমরা বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি তিনি থানায় ওসিকে জানিয়েছেন এবং মৃত্যু ব্যাক্তির পরিবারের সবাই এটাকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে মেনে নিয়েছে তাই আমরা লাশ দাফনের ব্যবস্থা করতেছি। এবিষয়ে প্রথমে মৃত্যু মোখছেদ শরীফের ছেলে মোঃ কালাম (৩৮), এর কাছে মৃত্যুর বিষয়টি জানতে গেলে তিনি জানান, আমার বাবার কি হয়েছিল সঠিক জানিনা তবে ইলেক্ট্রিক শর্ট খেয়ে তিনি মারাগেছে এটাই সত্য আমরা লাশের পোস্টর্ডেম করাবোনা তাই পুলিশকে জানাইনি পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান মোঃ আলতাফ হোসেন এর নিকট এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমাকে আমার এলাকার ৫ নং ওয়ার্ডের লোকজন এসে বিষয়টি বলেছে তবে আমি কোন থানা পুলিশকে অবহিত করিনি কারন মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে কারো কোন অভিযোগ ছিলোনা তাই আমিও এটাকে স্বাভাবিকভাবে নিয়েছি।তবে আমি কাউকে বলিনি যে, থানার ওসিকে জানিয়েছি এটা তারা সম্পুর্ন মিথ্যে বলেছে।এনিয়ে এলাকার বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন চলছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয় এটার মধ্যে রহস্য রয়েছে যেমন,ঐ মৃত্যু ব্যাক্তির নিকট টাকার লেনদেন বাকি রয়েছে এনিয়ে কথার কাটাকাটি হয়েছে পরে বাড়ির মালিক খালেক সিকদার মৃত্যু মোখছেদকে ধাক্কা দিলে সে অটোগাড়ির উপরে পরে যায় এবং সেখানে খোলা বিদ্যুৎ লাইন থাকায় সে বিদ্যুৎ স্পস্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারাযায় এটাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য তারা কোথাও কাউকে না জানিয়ে মৃত্যু মোখছেদ শরীফের ছেলে মেয়ে ও তার পরিবারের সদস্যদের টাকা ধরিয়ে দিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে বুজিয়ে তাদের মুখ বন্ধ করে দেয়।এছাড়া ঘটনাস্থলের সকল আলামত সরিয়ে ফেলা এবং বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত না করে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করায় জনমনে এমন ধারানার জন্ম নিয়েছে বলে জানাযায়।তবে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোন প্রমান নেই বলে এই কথা ভিত্তিহীন বলে দাবি অত্র এলাকার চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেনের।অন্য দিকে এলাকার লোকদের ধারনা পুলিশ ময়নাতদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনার রহস্য বেরিয়ে আসতোএতে জনমনে সৃষ্টির ধারনা সত্যি কিংবা ভিত্তহীন প্রমানিত হত বলেও এলাকায় দাবি রয়েছে অনেকের।

অতপর বিকাল ৪ ঘটিকার সময় ৯৯৯ আইজি অফিসের হেলফ নাম্বার এর মাধ্যমে জানতে পেরে পটুয়াখালী সদর থানার কর্মরত এসআই আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসেন এবং সম্পুর্ন ঘটনা জানেন অতপর মৃত্যু ব্যাক্তির পরিবারের লোকদের কারো প্রতি কোন অভিযোগ না থাকায় এবং মৃত্যু ব্যাক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে ময়নাতদন্ত না করার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ দাফনের অনুমতি প্রদান করেন।

এবিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,যেহেতু এখানে কোন পরিবারের লোকজনের কারো প্রতি কোন অভিযোগ নেই এবং লোকটা বিদ্যুৎ স্পস্ট হয়ে মারাগেছেন এটাও সঠিক এজন্য আমাদের ডিউটিরত পুলিশ সেখানে গিয়ে লাশ দেখেছে আর অপমৃত্যুর মত কোন অভিযোগ কিংবা আলামত পাওয়া যায়নি সেহেতু এটা অপমৃত্যু নয় মৃত্যু তাছাড়া এলাকা ও পরিবারের পক্ষ থেকে ময়নাতদন্ত না করার আবেদন করা হয়েছে আমরা আবেদন মঞ্জুরের ভিত্তিতে লাশের দাফন করার অনুমতি দিয়েছি।