Sharing is caring!

এম সাখাওয়াৎ হোসেন মিলন,গাইবান্ধাঃ
ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের হরিপুরে নির্মাণাধীন তিস্তাসেতু ও নদী পরিদর্শন করেছেন।
সোমবার (১০ অক্টোবর) সকালে চীনা রাষ্ট্রদূত তিন সদস্যের প্রতিনিধিদলসহ তিস্তাসেতু এলাকাসহ চীনা কোম্পানী কর্তৃক বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
এসময় তিস্তাসেতু প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন শেষে চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা তিস্তা নদী খনন ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে স্থানীয় জনগণের চাহিদা ও ভালো-মন্দ দেখতে এসেছি। চীনের কাছে সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার পাবে জনগণের সুবিধা। তিস্তা একটি বৃহৎ নদী, এটি খনন করতে পারলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান বাড়বে।
নদীটি খননের সম্ভবতা যাচাই করতেই তাদের দুইদিনের এই সফর জানিয়ে রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, “আমাদের প্রকৌশলীরা বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর পরিকল্পনা করা হবে। তবে শীগ্রই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হবে। এটি শুধু এ অঞ্চলের মানুষের জন্য সুসংবাদ নয়, পুরো বাংলাদেশিদের জন্যেও গর্বের বিষয়।’ শুষ্ক মৌসুমে পানি সঙ্কট দূর করা, তীর ব্যবস্থাপনা, বন্যা নিয়ন্ত্রণে তিস্তা নদী ঘিরে সরকারের নেওয়া মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
তিনি বলেন, এখানকার মানুষ, আবহাওয়া, প্রাকৃতিক পরিবেশ,স্থানীয় জনগণের চিন্তা-ভাবনা ও মানসিকতা তিস্তা মহাপরিকল্পনার পক্ষেই। তাই আমরা এই মহাপরিকল্পনাটির পুরো বিষয় নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ-আল-মারুফ, গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম, গাইবান্ধা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান, তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী, সাধারণ সম্পাদক সফিয়ার রহমান, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুন্সী আমিনুল ইসলাম সাজু, বীর মুক্তিযোদ্ধা জামিল আহম্মেদ ও স্থানীয় সুধীজন।
উল্লেখ্য, দুই দিনব্যাপী এই সফরের দ্বিতীয় দিনে সোমবার চীনা রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে দলটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, এলজিইডির কর্মকর্তা, বিভাগীয় কমিশনার ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে প্রস্তাবিত তিস্তা মহাপরিকল্পনার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। এই সুযোগে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের হরিপুরে তিস্তা নদীর ওপর নির্মাণাধীন ব্রিজও পরিদর্শন করেন।
চীন সরকার নিজ উদ্যোগ ও খরচে দুই বছর ধরে তিস্তার ওপর সমীক্ষা চালিয়ে একটি প্রকল্প নির্মাণের প্রস্তাব দেয় বলে জানা গেছে। এর আগে, রোববার ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিংসহ ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি দল লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর ও রংপুর জেলায় চীনা কোম্পানী কৃর্তক বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শনের পাশাপাশি তিনি তিস্তা ব্যারেজ এলাকা পরিদর্শন করেন।