Sharing is caring!

তরমুজ সেন্ডিকেট ব্যাবসায়ী দাবানলে ভোক্তা ও কৃষক
মোঃ শামাীম ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার::
সুস্বাদু রসালো মৌসুমী ফলের মধ্যে তরমুজ অন্যতম।কিন্ত কেজি দরে মেপে বিক্রয়ের সিন্ডিকেড ব্যবসায়ীদের আকাশচুম্বী দামের হেরফের জন্য অনেকের পক্ষে তরমুজ কিনে খাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
তরমুজের মধ্যস্তভোগী একটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রান্তিক কৃষক সারা বছরের কস্টের ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছে না, অন্যদিকে ভোক্তারা আকাশচুম্বী দামের জন্য অনেকের পক্ষে এই মৌসুমী ফল কিনে খাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেয়েছে মাহে রমজান এবং বৈশাখের তপ্তরৌদের তীব্রতা যতই বাড়ে ব্যবসায়ীরা তরমুজের দাম ততই বাড়িয়ে দেয়।
প্রান্তিক চাষীদের কাছ থেকে তরমুজ পাইকারি এবং শ-হিসাবে কিনে নেওয়া হয় অথচ ঐ তরমুজ ভোক্তার কাছে কাশিমপুর এর আনাচে-কানাচেতে সহ জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে কেজি হিসাবে বিক্রি করা হয়। প্রতি কেজি তরমুজের দাম ৫০ / ৬০ টাকা তাতে একটু ভাল মানের তরমুজ এর কেজি ৭০ /৮০ টাকা একটা তরমুজের দাম পড়ে ৪০০ /৫০০ টাকা গড়ে । বড়ই অনিয়ম দুর্নীতি দেখার জন্য ভোক্তা অধিকার ফাউন্ডেশন যে ভূমিকা রাখছে তা দূতবাস্তবায়ন করার জরুরী। কৃষকের উৎপাদিত প্রতিটি পণ্য কৃষক ন্যায্যমূল্য পায় না।
প্রান্তিক কৃষকের দামে আর ভোক্তার দামের পাথক্য অনেক বেশী। অর্থনৈতিক ভাবে কৃষক নির্যাতিত প্রতারিত হয়। অন্যদিকে ফলের দাম আকাশ পাতাল হের ফের হওয়ার কারণে অধিকাংশ ভোক্তাদের কিনে খাওয়ার সামান্য থাকে না।
প্রতিটি ফল ওফসলের ক্ষেত্রে কৃষকরা ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হয়। মধ্যস্তভোগী দালাল বা ফইরারা গরীব কৃষক ও ভোক্তার ভাগ্যে কুড়াল মারে। সরকারের উচিৎ কৃষক ও ভোক্তার মাঝে দামের সমন্বয় ঘটিয়ে যাতে কৃষক ন্যায্য দাম পায় এবং ভোক্তা ন্যায্য মূল্যে কিনে মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারে ।
দামের এ অরাজকতা, দুর্নীতি,অত্যাচার থেকে কৃষক ও ভোক্তাদের মুক্তি দিতে হবে। ভোক্তাদের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।
তরমুজ ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙ্গার জন্য প্রশাসনিক সহযোগিতা প্রয়োজন । এবং তরমুজ সিন্ডিকেট ব্যাবসায়ীদের কে আইনের আওতায় নিয়ে শাস্তি দেওয়া হলে পরবর্তী সময়ে এমন সিন্ডিকেট করার সুযোগ পাবে না।