১৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩১শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

মোংলা বন্দরের ইতিহাসে বিদেশী জাহাজ নোঙ্গরে নজিরবিহীন ঘটনা-নব দ্বার উন্মোচনের সমূহ সম্ভাবনা

admin
প্রকাশিত অক্টোবর ২৭, ২০২০
মোংলা বন্দরের ইতিহাসে বিদেশী জাহাজ নোঙ্গরে নজিরবিহীন ঘটনা-নব দ্বার উন্মোচনের সমূহ সম্ভাবনা

Sharing is caring!

মোঃ জাহান জেব কুদরতী,বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

সরকারের প্রচেষ্টা ও বন্দর কর্তৃপক্ষের নানামুখী সৎ পদক্ষেপে মোংলা সমুদ্রবন্দর ক্রমশই উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতায় দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ বন্দরে ভিড়ছে প্রতিনিয়ত। বন্দরে একের পর এক বিদেশি জাহাজ আসায় আমদানি-রফতানি বৃদ্ধি পাচ্ছে ফলে বাড়ছে সরকারী রাজস্ব আয়।

একসময় বন্দরের জেটি এলাকায় নদী খনন না হওয়ায় নাব্যসংকটে জেটিতে জাহাজ নোঙর করতে পারত না। নদী ড্রেজিং চলমান থাকায় জেটিতে এখন জাহাজ নোঙরে আর কোন সমস্যা নেই। রোববার (২৫ অক্টো’২০ ) মোংলা বন্দরের সবকয়টি জেটিতে বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজে পরিপূর্ণ হয়ে উঠে।এই প্রথম ৫টি জেটিতে ৫টি বিদেশি জাহাজ নোঙর করে রাখা হয়।পশুর নদীর জেটিসংলগ্ন ও চ্যানেলের নাব্যতা বৃদ্ধি, মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বাড়ায় একই সঙ্গে ৫টি জাহাজ জেটিতে মালামাল খালাসের জন্য বার্থিং করা হয়। ডেইজি, জেনারেল কার্গোবোঝাই লাইবেরিয়ার জাহাজ, কোটারিয়া/০৪৭৯ ডব্লিউ, কন্টেইনারবাহী সিঙ্গাপুরের জাহাজ কোটাহরম্যাট, সিঙ্গাপুরের জাহাজ কন্টেইনার হনর পেইসক্যাডস, প্রজেক্ট কার্গো বোঝাই পানামার জাহাজ মালয়েশিয়া স্টার, গাড়িবোঝাই মালয়েশিয়ার জাহাজ গুলি মোংলা বন্দর জেটিতে বার্থিং রয়েছে।

জেটিতে অবস্থানরত জাহাজগুলোর মধ্যে ৭ মিটার ড্রাফটেরও জাহাজ রয়েছে ২টি। বন্দর জেটিতে ৫টি জাহাজসহ বর্তমানে মোট ১১টি বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজ বন্দরে অবস্থান করছে বলে জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ। রোববার রাতে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপসচিব জনাব মোঃ মাকরুজ্জামান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কথা জানান।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জনাব এম.শাহজাহান সাহেব বলেন, মোংলা সমুদ্রবন্দর অর্থনীতির বাতিঘর হিসেবে বিবেচিত। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনায় করোনা মহামারির মধ্যেও মোংলা বন্দরের কার্যক্রম কখনোই বন্ধ থাকেনি। এ সরকারে আমলে মোংলা বন্দর উন্নয়নের জন্য ১৪টি প্রকল্পসহ ৫০টিরও অধিক উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। ফলে বন্দর ফের কর্মচাঞ্চল্য হয়ে ওঠেছে। বন্দর ব্যবহারের হার প্রায় প্রতিবছর ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ছাড়া নদী নাব্যতার সংকট কাটিয়ে বন্দর জেটিতে সব কয়টি পয়েন্টে বিদেশী জাহাজে পরিপূর্ণ।এতে সরকারের রাজস্ব বাড়ছে দ্বিগুন যা বন্দর সৃস্টির ইতিহাসে আগে কখনো সম্ভব হয়নি।।