Sharing is caring!

আব্দুল করিম চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি ঃ-
নির্বাচিত মেয়র আ জ ম নাছিরের দায়িত্বকালের গত চারবারের বাজেটের মতো শেষ বাজেট নিয়েও নগরবাসীর আগ্রহ থাকবে। নির্বাচনী ইশতেহারে তিনি যে ৩৬ দফার উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা বাস্তবায়নে মেয়াদের শেষ বাজেটে বিশেষ কোন বরাদ্দ রাখা হবে কী না এ বিষয়েই দৃষ্টি থাকবে নগরবাসীর। জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) কর্তৃক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে বিধায় জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানের জন্য বাজেটে কোন বরাদ্দ থাকে কী না তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে নগরবাসীর। বাজেটের আকারের প্রতিও দৃষ্টি রাখবেন নগরবাসী।
গত অর্থ-বছরের (২০১৮-১৯) বাজেটে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, ২০১৭-১৮ অর্থ-বছরের বাজেটে জলাবদ্ধতা নিরসন, (২০১৬-১৭) অর্থ-বছরের বাজেটে নগর উন্নয়ন খাত এবং (২০১৫-২০১৬) অর্থ-বছরের বাজেটে জলাবদ্ধতা নিরসন খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল।
তবে যথারীতি গত চার অর্থ-বছরের মতো এবারো জুন মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে বাজেট ঘোষণা করতে ব্যর্থ হলেন মেয়র আ জ ম নাছির। (২০১৫-২০১৬) অর্থ-বছরে নির্ধারিত সময়ের দুইমাস পর ২০১৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর নিজ মেয়াদের প্রথম বাজেট ঘোষণা করেছিলেন আ জ ম নাছির উদ্দীন। ওই অর্থবছরে উন্নয়ন অনুদানকে সর্বোচ্চ আয় খাত দেখিয়ে ১ হাজার ৬৩২ কোটি ৭৮ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছিল। অন্যদিকে নির্ধারিত সময়ের তিনমাস পর নিজস্ব আয়খাত ভিত্তিক নিজ মেয়াদের দ্বিতীয় (২০১৬-২০১৭) অর্থ-বছরের ২ হাজার ২২৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকার বাজেট বাজেট ঘোষণা করেছিলেন ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর। নির্ধারিত সময়ের এক মাস পর ২০১৭ সালের ৩০ জুলাই ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ২ হাজার ৩২৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। আর নির্ধারিত সময়ের দশদিন পর ২০১৮ সালের ১০ জুলাই গত (২০১৮-১৯) অর্থ বছরের জন্য ২ হাজার ৪ শত ২৫ কোটি ৪২ লাখ ৮২ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করেন তিনি।
বিশেষ সাধারণ সভা বা বাজেট অধিবেশন নামে পরিচিত ৩০ জুলাইয়ের সভায় মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার পর আয়-ব্যয়ের খাতওয়ারি বিবরণ উপস্থাপন করবেন ‘অর্থ ও সংস্থাপন স্থায়ী’ কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন হীরণ।