Sharing is caring!

বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ার নন্দীগ্রামে পরকীয়ায় বাঁধা দেয়ায় স্ত্রী ময়ুরী খাতুনকে (২৫) শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে পৌর কৃষক লীগের এক সদস্যর বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রবিবার দুপুরে নন্দিগ্রাম নন্দীগ্রাম পৌর এলাকায় । স্থানীয় পুলিশ স্বামীর বাড়ি থেকে নিহত গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারীক সূত্রে জানা গেছে, নন্দীগ্রাম পৌর এলাকার ওসমান গনির ছেলে কৃষক লীগ নেতা মাসুদ রানার সাথে প্রায় সাড়ে ৭বছর আগে নাটোর জেলার পাটুল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে ময়ুরীর বিয়ে হয়েছিল। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে।
এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার অভিযোগ করে জানায়, মাসুদ রানা দীর্ঘদিন ধরে অন্য নারীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেম, মাদকদ্রব্য সেবন সহ নানা অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত আছে ।
নিহত গৃহবধু ময়ুরী স্বামীর এসব অনৈতিক কাজে প্রতিবাদ করতো । যে কারনে মাঝে মধ্যই ময়ুরীকে মারধোর করতো তার স্বামী । তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতে কথাকাটির এক পর্যায়ে ময়ুরীকে মারধোর করার এক পর্যায়ে পরকীয়ায় বাঁধা দেয়ায় স্বামী তাকে ক্ষুব্ধ হয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর ঘটনাকে ধামাচাপা দিয়ে বিষয়টি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে স্ত্রীর লাশ নিজ বাড়ির পাশে একটি গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখে।
পরে বিষয়টি জানা জানি হলে এলাকায় ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দেয় । এদিকে ঘটনার পর থেকে মাসুদ রানা ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।
নিহতের বাবা আনোয়ার হোসেন অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্বামীর অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করায় তার মেয়ে ময়ুরীকে প্রায়ই নির্যাতন করতো তার জামাই। এ বিষয় নিয়ে জামাইয়ের পরিবারের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেও কোনো কাজ হয়নি। মাসুদ রানা আমার মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ গাছের ঝুলিয়ে রেখেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’
নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি সার্বিক ) শওকত কবির বলেন, ময়ুরীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে