Sharing is caring!

আবদুল করিম চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি ঃ-
সাম্প্রতিক জলাবদ্ধতা, পোর্ট কানেকটিং (পিসি) সড়ক সংস্কার, বারিক বিল্ডিং থেকে ফকিরহাট পর্যন্ত ওয়াসার পাইপ লাইন ও সিমেন্ট ক্রসিং এলাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের জন্য মূল সড়ক সংকুচিত হয়ে যানজট বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ।
শনিবার (২০ জুলাই) বন্দর ভবনের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বন্দর চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১০-১২ দিন নগরে টানা বৃষ্টির কারণে বন্দরের বাইরে বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে চট্টগ্রাম ও বন্দর সংলগ্ন সড়ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সড়কে বড় বড় গর্তের কারণে যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। বন্দরে ট্রাক, ট্রেইলার ও কাভার্ডভ্যান ঢোকার বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় বন্দরের বাইরে যানজটের সৃষ্টি হয়। যা কোনো অবস্থাতেই চট্টগ্রাম বন্দরের কারণে সৃষ্টি হয়নি। এ সময় বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি ৪ হাজার টিইইউসের (২০ ফুট দীর্ঘ হিসেবে) কম ছিল। তাই তীব্র যানজটের জন্য মূলত প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্দরের যানবাহন ও গণপরিবহনের একই সড়কে চলাচল ও শহরের জন্য বিকল্প সড়ক তৈরি না হওয়াকে চিহ্নিত করা যায়।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর পর গত ৬ মে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৬০০ টিইইউ’স কনটেইনার ও কার্গো ডেলিভারি হয়। রমজানে গত ১২ জুলাই ৪ হাজার ৮০০ টিইইউ’স কনটেইনার ডেলিভারি হয়। এসব সময়ে বন্দরের বাইরে তীব্র যানজট দেখা যায়নি।
বন্দর চেয়ারম্যান জানান, বন্দরে প্রতিদিন ৭ হাজার ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও ট্রেইলার ঢোকে। আইএসপিএস কোডের শর্ত অনুযায়ী এসব গাড়ি, চালক ও সহকারীর পরিচয় নিশ্চিত করতে ডাটাবেজ তৈরি হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৩২ হাজার ৭৬৯ জন চালক-সহকারী ডাটাবেজভুক্ত হয়েছেন। ২৯ হাজার ৭৬৯ জনকে ডিজিটাল পাস দেওয়া হয়েছে। সহকারীর বয়স ১৩-১৫ হলে শ্রম আইন মেনে বন্দরের প্রবেশে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। এ ছাড়া ১৭টি বেসরকারি অফডকের ট্রেইলার ২৪ ঘণ্টা চলাচলের ডাটাবেজ সম্পন্ন হয়েছে।