২৪শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

তারাকান্দি-ভূঞাপুর সড়ক ভেঙে যানবাহন চলাচল বন্ধ পরিদর্শনে পানি মন্ত্রণালয় সচিব

admin
প্রকাশিত জুলাই ১৯, ২০১৯

Sharing is caring!

 

কেএম সুজন, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
অস্বাভাবিকভাবে টাঙ্গাইলের যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে তারাকান্দি-ভূঞাপুর সড়ক ভেঙে সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বন্যানিয়ন্ত্রন বাঁধ হিসেবে ব্যবহৃত এই সড়কটির ৫০ মিটার অংশ ধসে গেছে। গতকাল বৃহ¯পতিবার রাত ৮টার সময় ওই সড়কের ভূঞাপুর উপজেলার টেপিবাড়ি নামক স্থানে এ ভাঙনের ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার সকাল থেকেই রাস্তাটি মেরামত কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনীর দল। ভাঙ্গন পরিদর্শন করে দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দেন পানি সম্পদ মন্ত্রণায়লের সচিব কবীর বিন আনোয়ার এবং ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও ঘাটাইল এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারল মিজানুর রহমান শামীম বিপি। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাঁধ রক্ষায় কোন উদ্যেগ না নেওয়ায় গ্রামবাসী চেষ্টা করেও বাঁধটি রক্ষা করতে পারেনি।

টাঙ্গাইল অংশে যমুনার নদীর পানি আজ ৮ সে.মি. বৃৃদ্ধি পেয়ে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিপদসীমার ৯৯ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে টাঙ্গাইল সদর, ভূঞাপুর, গোপালপুর, কালিহাতী, নাগরপুর, দেলদুয়ার উপজেলার প্রায় ১১১টি গ্রামের তিন লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। গবাদিপশু নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।
এদিকে বন্যা দূর্গত এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ দেয়ার কথা বলা হলেও অনেক এলাকতেই এখনও ত্রাণ সহায়তা পায়নি বলে দাবী করছে বন্যা দূর্গতরা।
জেলার বন্যা আক্রান্ত এলাকায় ৬৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে (মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৯টি এবং প্রায় ৫৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়) ও ১৯১২ হেক্টর ফসলি জমি এবং সবজি পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।