১৪ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৬ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

রূপগঞ্জে আখ চাষে বাম্পার ফলন

admin
প্রকাশিত আগস্ট ২৭, ২০২০
রূপগঞ্জে আখ চাষে বাম্পার ফলন

Sharing is caring!

ফয়সাল আহমেদ,রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

 

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এবার আখ চাষে বাম্পার ফলনের কারনে ধান চাষ থেকে আখ চাষে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় আখ চাষে ঝুঁকছেন রূপগঞ্জের কৃষকরা। বর্ষার শুরুতে আখ চাষ করে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। দামও বেশ ভাল।

 

উৎপাদিত আখের আশানুরূপ দাম পেয়ে খুশি আখ চাষিরা। কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের অর্থায়নে রূপগঞ্জে আখ চাষ জোরদার করণ প্রকল্পের আওতায় কৃষকরা আখ চাষ করেছেন।

 

এ ছাড়া ব্যক্তিগত উদ্যোগেও অনেকে আখ চাষ করেছেন বলে জানা গেছে। আখ চাষের অধিকাংশ জমিই আনাবাদী ছিল। কিছু ধান চাষের জমিতে আখের এ বাম্পার ফলনে অনেক চাষী আখ চাষে ঝুকছেন।

 

সূত্র এলাকার আখ চাষিরা জানায়, গত ২ বছরে রূপগঞ্জের আনাবাদি জমিতে আখ চাষ শুরু করেছেন এলাকার কৃষকরা। ধান চাষে অমানুষিক পরিশ্রম, মূলধন বেশি লাগার কারণে অনেক কৃষকই ধান চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছেন। একই সঙ্গে তারা ধানের বিকল্প ফসল চাষের চেষ্টা চালাচ্ছেন। যেসব কৃষক ধান চাষ করতেন তাদের অনেকেই এখন আখসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।

 

রূপগঞ্জ কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি বছর রূপগঞ্জে ১ হাজার হেক্টর (৭ শত ৫০ বিঘা) জমিতে আখ চাষ করা হয়েছে । এর মধ্যে লতারি জবা আখ ৭০ হেক্টর, মিছড়ি দানা আখ ১০ হেক্টর ,বাশ টেনাই আখ ১০ হেক্টর , সূর্য মুখী আখ ৫ হেক্টর আখ,ইশ্বরদী Ñ১৬ আখ ৫ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে।

 

এ ছাড়া কৃষকরা আখক্ষেতে সাথী ফসল হিসেবে আলু, গাজর ও ফরাশশিম চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। আখক্ষেতে সাথী ফসল হিসেবে বাঁধাকপি, ফুলকপিসহ আরও কয়েকটি কৃষি ফসল চাষে রূপগঞ্জ কৃষি বিভাগ প্রযুক্তি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। চলতি মৌসুমে রূপগঞ্জে প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে বলে জানা গেছে।

 

রূপগঞ্জে মাটি ও আবহাওয়া আখ চাষের উপযোগী এবং জলাবদ্ধতা না থাকায় চলতি মৌসুমে আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি হেক্টর আখ চাষে কৃষকের খরচ হয়েছে ২ লাখ টাকা। আর প্রতি হেক্টরে উৎপাদিত আখ ১০ থেকে ১১ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।

 

মুড়াপাড়া ইউনিয়নের আখ চাষী মনির মিয়া জানান, তিনি প্রায় ১০ শতক জমিতে মিছড়ি দানা জাতের আখ চাষ করেছেন। তার মোট ব্যয় হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। বিক্রয় মূল্য পাচ্ছেন ৮০ হাজার টাকা। আগে এসব ভূমিতে ধান চাষ করে তিনি খরচ বাদ দিয়ে ৫ হাজার টাকাও লাভ করতে পারতেন না। ভোলাব এলাকার আখ চাষি রহমাতুল্লাহ জানান, তিনি ২ লাখ টাকা খরচ করে আখ চাষ করেছেন। প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা বিক্রি করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করছেন তিনি।

 

রূপগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোফাজ্জল হোসেন জানান, বেলে-দো – আঁশ থেকে শুরু করে এঁটেল পর্যন্ত সব মাটিতেই আখ চাষ করা সম্ভব হলেও পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থাযুক্ত এঁটেল-দোআঁশ মাটি আখ চাষের জন্য সর্বোত্তম। তিনি বলেন, রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যার চরের জমিতে আখ চাষের অনুকূল পরিবেশ বিদ্যমান।