১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

“মুড়াপাড়া কলেজ নির্বাচন নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার ছাত্রনেতা আতা-ই-রাব্বীর মন্তব্য”

admin
প্রকাশিত জুলাই ১৮, ২০১৯

Sharing is caring!

মোঃ শাকিল আহম্নেদ , নারায়ণগঞ্জ ঃথানা কমিটি,কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি,মুড়াপাড়া কলেজ নির্বাচন ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের প্রেসিডেন্ট মশিউর রহমান রনি এবং সেক্রেটারি খায়রুল ইসলাম সজীবের সফলতা ও ব্যার্থতা নিয়ে বলতে গেলে শুরুতেই বলতে হয় তারা তাদের স্থানে সফল। ★ প্রথমেই প্রসঙ্গ হিসেবে আসে জেলা ছাত্রদল পূর্ণাঙ্গ কেনো হলো না সে বিষয়ের প্রশ্ন।এর প্রেক্ষিতে আমি আমার বিশ্লেষণ তুলে ধরছি। # জেলা কমিটি হবার পর প্রেসিডেন্ট,সেক্রেটারি ও অন্যান্য সদস্যদের যে কোনো বিষয়েই ঐক্যমতে পৌছানোটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সময়,অবস্থা ও পারিপার্শ্বিক কারনে সাধারণত ঐক্যমতে পৌছানো গেলেও সেক্রেটারি এরেস্ট হন।তার মুক্তি লাভের পর আবার প্রেসিডেন্ট গুম হন ও পরবর্তীতে তাকেও এরেস্ট দেখানো হয় এবং তিনি ভেতরে থাকা অবস্থায় কমিটির প্রক্রিয়া শুরু হলেও অনেকের ধারনা ছিলো প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারীর উপস্থিতিতে ঐ কমিটি করা হলে কারো কোনো সন্দেহ থাকবে না এবং কোনো প্রশ্নও থাকবে না।সফল হলে দুই জনই হবে আর ব্যর্থ হলে তারাই হবেন।তার পর প্রেসিডেন্ট জেল থেকে মুক্ত হলে তারা জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি সেন্ট্রালে জমা দিয়ে দেন।যা এখনো পক্রিয়াধীন রয়েছে। এর ভেতর চলে আসে নির্বাচনের প্রস্তুতি। রাজিব ভাই ও আক্রাম ভাই নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ঐ জমা দেয়া কমিটি নিয়ে আর এগোতে পারেন নি।অপর দিকে ঐ সময় থানা,কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউনিয়ন দেয়ার ইচ্ছা পোষন করা হলেও মৌখিক ভাবে সেন্ট্রালের সিনিয়র নেতারা কমিটি না করার পক্ষে মতামত প্রদান করেন। এর পর সন্ট্রাল ছাত্রদল ভেঙ্গে গেলে জটিলতা আরো তীব্র আকার ধারন করে।তাতে জেলা ছাত্রদল পূর্ণাঙ্গ করন সহ থানা, বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ কমিটিগুলোও বাধার মুখে পড়ে।এতে যে শুধু জেলা ছাত্রদলই আক্রান্ত না শুধু নয়।এতে মহানগর কমিটি ও আক্রান্ত। যদিও তারা মহানগর ছাত্রদল পূর্ণাঙ্গ করে এখন ওয়ার্ড পর্যন্ত কমিটি করার অপেক্ষায় রয়েছেন।উপরোক্ত বিবৃতির ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সংগ্রামী ও অদ্বিতীয় ছাত্রনেতা শাহেদ ভাইয়ের বক্তব্য হুবুহু তুলে ধরা হয়। “কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সম্মেলন/কমিটি নিয়ে জটিলতা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধান করা উচিৎ। আর সেটা না পারলে জেলা-মহানগর এর আওতাধীন থানা-কলেজ-ওয়ার্ড গুলোর কমিটি ছাড়ার বিধিনিষেধ তুলে দেয়া হোক।দেশের এক ক্লান্তি লগ্নে দায়িত্ব পেয়েছি আমরা কিন্তু সংগঠনের অভ্যন্তরীণ জটিলতার কারণে আমরা ব্যার্থতার দায়বার নিতে রাজি না।আমরা বিভিন্ন ইউনিটের কমিটি গুলো দিতে আন্তরিকভাবে প্রস্তুত কিন্তু নিজেদের কেন্দ্রীয় বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে কমিটি করার এখতিয়ার আমাদের নেই।এভাবে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের গড়া ছাত্রদল চলতে পারে না,তৃনমুলের সাথে আর কত অন্যায় আর কত হতাশার মাঝে ছেলেদের নিমজ্জিত করবেন??? কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের জটিলতা দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তি চাই অথবা তৃনমুলের পরিচয় দেয়ার বিধিনিষেধ তুলে দেয়ার দাবি জানাই।” উপরোক্ত বিবৃতিতে এটা পরিষ্কার, কোথায় মূল জটিলতা এবং কেনো জটিলতা এবং মূলতা কারা এর জন্য দায়ী। ★এবার আসি মুড়াপাড়া কলেজের নির্বাচন প্রসঙ্গে,জেলা ছাত্রদল শুধু রনি বা সজিব এর নয় এর সাথে সেন্ট্রাল, মূল দল,থানা,ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের পাওয়াফুল বা ননপাওয়ারফুল নেতারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করে বা করার চেষ্টা করে।আপাতদৃষ্টিতে যে কেউ বলবে ছাত্রদলের সাথে তাদের সম্পর্ক কি?এখানে বুঝা দরকার ছাত্রদল দলের অঙ্গ সংগঠন নয় এটা সহোযোগী সংগঠন।সেক্ষেত্রে প্রটকল অনুযায়ী কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় জেলার আওয়াতাধীন,জেলা সেন্ট্রালের আওয়াতাধীন।বর্তমানে জেলাকে প্রভাবিত করার জন্য সেন্ট্রাল সিস্টেমিকলি ব্যাকফুটে অবস্থান করছে তাই স্বাভাবিক ভাবেই এখন জেলার অভিভাবক জেলা মূল দল। জটিলতার জন্য কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি হয় নি।জেলাও সেন্ট্রাল ছাত্রদলের অনুমতি না পাওয়া এবং জেলা মূলদলের এ বিষয়ে স্ট্রংলি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং কারো সাথে এ নিয়ে বসেছেন বলে আমার জানা নেই।বলা যেতেই পারে এ সব পারিপার্শ্বিক কারনে মুড়াপাড়া কলেজ কমিটির নির্বাচনে ব্যাকফুটে অবস্থান নেয় জেলা ছাত্রদল।এছাড়াও সেন্ট্রাল থেকে সামনের নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না করার মৌখিক সিদ্ধান্ত নেয়।যার প্রভাব মুড়াপাড়া কলেজ নির্বাচনে ছাত্রদল নেতা কর্মীর উপর পড়ে। বিগত জাতীয় নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন ও স্থানীয় নির্বাচনে ব্যাপক ভোট ডাকাতি,কর্মীদের উপর হামলা ও নতুন মামলায় কর্মীদের পুনরায় ভোগান্তির আশঙ্কা এবং সামনের আন্দোলন সংগ্রামের জন্য শক্তি বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থ সব মিলিয়ে জেলা ছাত্রদল জালিয়াতি এবং ভোট ডাকাতির নির্বাচনে অংশ গ্রহন না করার সিদ্ধান্ত নেয় বলে আমি মনে করি। তারপরেও যদি কেউ নির্বাচন করার আগ্রহ প্রকাশ করে তবে সে চাইলে সতন্ত্র প্রার্থী হতে পারতেন।এখানে জেলা ছাত্রদলকে দায়ী করা,মশিউর রহমান রনি বা খায়রুল ইসলাম সজীব ভাইকে প্রশ্নবিদ্ধ করাকে আমি ভুল বুঝাবুঝি হিসেবেই দেখছি।মনে রাখতে হবে রাজনীতিতে প্রতিটা বিষয় একটার সাথে আরেকটা জড়িত। আর ব্যার্থতার কথা বললে এতটুকুই বলা যেতে পারে, তারা দলীয় সিস্টেমের কাছে এখন পর্যন্ত ব্যার্থ।তবে আশা করি তারা সেটা ওভারকাম করেই সফল হবেন। এতো বড় দল এখানে মত বিরোধ,ভুল বুঝা-বুঝি,আলোচনা -সমালোচনা থাকবে সেটাই স্বাভাবিক।এখানেই রাজনীতি শেষ নয়।সবার প্রতি আমার আহ্বান রইলো দল,দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া,তারুণ্যের অহংকার দেশ নায়ক তারেক রহমানের স্বার্থে সময় উপযোগী বাস্তবতা বুঝে কাজ করা ও ঐক্যবদ্ধ হওয়া।