২০শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

নাগরপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে শফিকুল এর দোকান ভাংচুর

admin
প্রকাশিত জুলাই ১৫, ২০১৯
নাগরপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে শফিকুল এর দোকান ভাংচুর

Sharing is caring!

 

টাংগাইল প্রতিনিধিঃ টাংগাইলের নাগরপুরে বেটুয়াজানী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামস উদ্দিন এর বিরুদ্ধে ছাত্র ছাত্রীদের লেলিয়ে দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলের দোকান ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে।উপজেলার বেটুয়াজানী গ্রামের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোঃ শফিকুল এর দোকান বেটুয়াজানী উচ্চ বিদ্যালয়ের মূল গেটের সন্নিকটে অবস্থিত।

এ বিষয়ে শফিকুল ইসলাম বলেন,গত ১৪-৭-২০১৯ তারিখে জামাত ও বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত এ বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক শামস উদ্দিন তার অনুগামী কতিপয় শিক্ষক এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে বেটুয়াজানী বাজারের কয়েকটি দোকান ভাংচুর, বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি ঘেরাও সহ নানা ধরনের হুমকি দেয় এবং আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়।

তিনি আরও বলেন, এই বিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত আমার
দোকান ঘর ভাঙ্গা ও দোকান ভিতরে রেখে দেওয়াল তৈরীতে বাধা দিলে প্রধান শিক্ষক শামস উদ্দিন ও অফিস সহকারী রাইসুল ইসলাম রিপন আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।আমার পিতা মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী বেটুয়াজানী উচ্চ বিদ্যালয়,রমজান আলী উচ্চ বিদ্যালয় সহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জমি দাতা।

এ বিষয়ে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী সুফিয়া খানম বলেন,আমার স্বামী স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য জমি দান করেছে।আজ প্রধান শিক্ষক শামস উদ্দিন ও অফিস সহকারী রাইসুল ইসলাম রিপন শিক্ষার্থীদের হাতে রড,লাঠিসোটা দিয়ে আমাদের বাড়ি ঘেরাও করে,বাজারের দোকান ভাংচুর সহ প্রাণ নাশের হুমকি দেয় এবং শিক্ষার্থীদের দিয়ে মানববন্ধনের নামে জনদূর্ভোগ সৃষ্টি ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মানহানি করে।আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সুষ্ঠু বিচার এবং দোষীদের কঠিন শাস্তি দাবি করছি।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য বেটুয়াজানী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামস উদ্দিন এর মোবাইলে যোগাযোগ করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে নাগরপুর থানায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।