২৪শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

চুয়াডাঙ্গা জীবন নগরের মেয়ে সোনিয়া: এক বধু দুই স্বামী, অন্তর্দ্বন্দ্বে দুই পরিবার

admin
প্রকাশিত জুলাই ১৪, ২০১৯
চুয়াডাঙ্গা জীবন নগরের মেয়ে সোনিয়া: এক বধু দুই স্বামী, অন্তর্দ্বন্দ্বে দুই পরিবার

Sharing is caring!

ঝিনাইদহ থেকেঃ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের গ্রাম্য পল্লীতে এক বধুর দুই স্বামী নিয়ে জনমনে বিড়ম্বনা সৃষ্টি হয়েছে। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে এ ধরনের ঘটনা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যশোর সাতমাইল শ্যামনগর গ্রামের মেহেদী হাসানের স্ত্রী সোনিয়া খাতুন স্বামীর সাথে অবনীবনার কারণে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের ইসমাইল মালিথার ছেলে সোহরাব মালিথার সাথে। সোনিয়া চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার ধোপাখালী গ্রামের আরিফুর রহমানের একমাত্র মেয়ে। পড়ালেখা করাকালীন কলেজ জীবনে গাড়ির ভিতর পরিচয়ের মধ্য দিয়ে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আর সেই প্রেমের সূত্র ধরে হতে থাকে কথা, কথা থেকে প্রেম ও দেখা। এবার দুজনে সিদ্ধান্ত নেয় ঘর বাঁধার যেমন চিন্তা তেমন কাজ। দুজনার সিদ্ধান্ত আর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১৮ই জুন মঙ্গল বার সন্ধ্যায় সাত মাইল শ্যামনগর মেহেদীর বাড়ি থেকে সোহরাবের হাত ধরে চলে আসে সোনিয়া। দুজনের সিদ্ধান্তেই সোহরাবের বাড়িতে ওই রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে বাবা, মা ও স্থানীয় প্রতিবেশীদের  উপস্থিতিতে সোনিয়ার দাবী অনুযায়ী ১০ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য্যে ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক স্থানীয় মৌলভী দ্বারা মৌখিক বিবাহ সম্পন্ন হয়। এদিকে রাত না পোহাতেই ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ থানাতে অভিযোগ করে সোনিয়ার প্রথম স্বামী মেহেদী। অপরদিকে সোহরাব সোনিয়া স্বামী স্ত্রী হিসেবে রাতদিন চব্বিশ ঘন্টা থাকার পর বুধবার সন্ধ্যায় বেরসিক থানা পুলিশ কোন কিছু না বুঝেই আটক করে দম্পতি এই যুগলকে এবং রাতভর থানা পুলিশ হেফাজতে রেখে বৃহঃবার দুপুরে আপোষ মিমাংসার মাধ্যমে সোনিয়াকে নিয়ে যায়। কিন্তু সোনিয়াকে নিয়ে সময় দ্বিতীয় স্বামী সোহরাবের কোন  বক্তব্য শোনা হয়নি বলে জানা গেছে। ধর্মীয় মতে এই দম্পতি যুগল স্বামী স্ত্রী হলোও থানায় বসে লেখাকৃত আপোষ মীমাংসার কাগজে লেখা রয়েছে ভিন্ন কথা। এ ব্যাপারে সোহরাব মালিথার সাথে মোবাইল ফোনে আলাপকালে তিনি জানান, আমি সোনিয়াকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেছি । আমি তো কোন অপরাধ করিনি প্রেমের সূত্র ধরে সোনিয়া আমাকে বিশ্বাস করে চিরদিনের জন্য আমার হাত ধরে আমার কাছে চলে এসেছে। সোনিয়ার দেওয়া শর্ত অনুযায়ী ১০ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করেই আমি তাকে বিয়ে করেছি। আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে চাই ওরা আমার স্ত্রী সোনিয়াকে আটকে রেখেছে। মেহেদীর ভাই পুলিশে কর্মরত আছে যে কারণে আমি পুলিশি হয়রানির আশঙ্কা করছি।

এবিষয়ে প্রথম স্বামী মেহেদী হাসানে মুঠোফোনে আলাপ কালে তিনি বলেন, সোহরাব যা পারে করুক আমার ভাই দারোগা আমি ওকে দেখে নিব। এসময় তিনি ধর্মীয় মতে সোহরাবের সাথে সোনিয়ার বিয়ে হওয়ার বিষয়টি  স্বীকার করে জানান, সোনিয়া ভুল করে সোহরাবকে বিয়ে করেছে তবে এব্যপারে আর কোন কথা বলতে চাই না বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে সোনিয়ার সাথে কথা বলতে চাইলেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। দুই স্বামী এক স্ত্রীর ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সোনিয়া কে ধরে রাখার জন্য দুই স্বামী দৃড় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।