Sharing is caring!

এম আব্দুল করিম, সিলেট জেলা প্রতিনিধিঃ
সিলেটের প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী হিসেবে চিহ্নিত সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মঈন উদ্দিন।গত ৫ এপ্রিল তাঁর দেহে করোন সনাক্ত হওয়ার পর প্রথমে সিলেট শামসুদ্দিন আহমেদ হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসা দেওয়া হয়,পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে তাকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা পারেন নি। অবশেষে সব কিছুকে পরাজিত করে এক অজানা অচেনা গন্তব্যে চলে গেলেন মানবতার এ মহা নায়ক,গরীবের ডাঃ খ্যাত এ চিকিৎসক। আজ সকাল পৌনে সাতটায় রাজধানীর ঐ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এদিকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সংক্রমণ বিধির বরাতে জানাগেছে যে,নিয়মানুযায়ী তার মরদেহ ঢাকায় দাফন করা হবে। এর ফলে তার মরদেহ সিলেটে আনা হবে না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, ডা. মো. মঈন উদ্দিন আগে থেকেই ভেন্টিলেটরে ছিলেন। গতরাত থেকে সংক্রমণ তার হার্টে ছড়িয়ে পড়লে তার মৃত্যু হয়। তবে তার মরদেহ সিলেটে আনা হবে না।
তিনি আরও বলেন, বুধবার (১৫ এপ্রিল) সকাল পৌনে সাতটায় ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডা. মো. মঈন মারা যাওয়ায় বিষয়টি পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমেদ নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সকালে ডা. মো. মঈন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
ডা. মো. মঈন উদ্দিন সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সিদ্দিক আলীর ছেলে। তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র ছিলেন। দুই শিশু সন্তানের জনক ডা. মো. মঈন উদ্দিন সিলেট নগরের হাউজিং এস্টেট এলাকায় স্ত্রী-সন্তান দিয়ে বসবাস করতেন।
উলেখ্য, গত ৫ এপ্রিল বিকেলে সিলেটে করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) প্রথম আক্রান্ত রোগী হিসেবে এই চিকিৎসক সনাক্ত হন। ঐদিন রাতে নগরের হাউজিং এস্টেট তার বাসা লকডাউন করা হয়। পরদিন ৬ এপ্রিল সকালে পুরো হাউজিং এস্টেট লকডাউন করা হয়।