১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৫ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

মহেশপুর সীমান্তে ইছামতি নদীতে ভাসমান ব্যাক্তির লাশটি নিয়ে গিয়েছে বিএসএফ

admin
প্রকাশিত এপ্রিল ১১, ২০২০
মহেশপুর সীমান্তে ইছামতি নদীতে ভাসমান ব্যাক্তির লাশটি নিয়ে গিয়েছে বিএসএফ

Sharing is caring!

রবিউল ইসলাম,মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি :

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তের ইছামতি নদীতে অজ্ঞাত যুবকের ভেসে ওঠা একটি লাশ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ। লাশটি মহেশপুরের খোসালপুর ও মাইলবাড়িয়া এলাকার ভারতীয় অংশ পাখিউড়া ইছামতি নদীতে ভাসছিল। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পাখিউড়া বিএসএফ ক্যাম্পের জওয়ানরা লাশ টি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে লাশটি বাংলাদেশী না ভারতীয় নাগরিকের তা নিশ্চিত করতে পারেনি ৫৮ বিজিবি।

 

এদিকে মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় কলোনী পাড়া গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে আমির হোসেন (২৭) নামে এক যুবক গত সোমবার থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। গ্রামবাসি ইছামতি নদীতে পাওয়া লাশটি আমির হোসেনের বলে তারা সন্দেহ করছে।

 

স্থানীয় ইউপি সদস্য খোন্দকার আব্দুল করিম অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন রাতে শ্যামকুড় পুর্বপাড়া গ্রামের ইদু শেখের ছেলে মোমিনুর ও সাদেক আলীর ছেলে শাহানুরের নেতৃত্বে একটি চোরাকারবারী দল ভারতে গরু আনতে যায়। ওই দলে আমির হোসেন ছিল। ইউপি সদস্যের ভাষ্যমতে নিখোঁজ আমির হোসেন তার শ্যালকের ছেলে। সীমান্তে গরু চোরাকারবারী মোমিন ও শাহানুর আমিরকে ফুসলিয়ে ভারতে নিয়ে যায় গরুর রাখাল হিসেবে। তারা আমির হোসেন ফিরে আসবে আসবে জানালে এখন দুজনাই গাঁঢাকা দিয়েছে।

 

ঝিনাইদহের খালিশপুর ৫৮ বিজিবির কমান্ডার লেঃ কর্ণেল কামরুল আহসান শনিবার এ প্রতিবেদককে জানান, ইছামতি নদীর ভারতীয় অংশে অজ্ঞাত একটি লাশ ভাসতে দেখে তারা বিএসএফকে খবর দেন। এরপর বিএসএফ লাশটি উদ্ধার করে। লাশটি বাংলাদেশী কারো কিনা সে বিষয়ে তাদের কাছে কোন তথ্য নেই। কেও অভিযোগও করেনি।

 

মহেশপুরের শ্যামকুড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমানুল্লাহ হক জানান, শ্যামকুড় কলোনী পাড়ায় আমির হোসেন নামে একটি ছেলে গত ৪/৫ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। শুনেছি লাশটি তারই। কিন্তু এখনো আমরা দায়িত্বশীল সুত্র থেকে নিশ্চেত হতে পারেনি। আমি আমিরের পিতা কালু মন্ডলকে থানায় জিডি করতে বলেছি।