Sharing is caring!

ফারুক আহমেদ, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি :
সারা বিশ্ব এখন আক্রান্ত করোনা ভাইরাসে। বাংলাদেশেও গত কয়েকদিনে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। সর্বশেষ সোমবার পযর্ন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১২৩ জন এবং মৃতের সংখ্যা ১২ জন। করোনার কার্যকারি কোন চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় আতঙ্কিত দেশ।
সারা দেশে চলছে লকডাউন। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হতে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছে সেনাবাহিনী, আনসার, নৌবাহিনী ও অন্যান্য বাহিনীরা।
প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই পড়তে হচ্ছে প্রশাসনের নানা প্রশ্নের মুখে। কাউকে বা গুনতে হচ্ছে জরিমানা। খোলা আছে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দোকান, ঔষধ ও কাচা বাজার।
কিন্তু গ্রামের মানুষ সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অমান্য করে অবাধ বিচরণ করছে।
গ্রামের মানুষ নিয়মিত দোকানপাট গুলোতে করছে খোশ গল্প মেতে আছে আড্ডায়। মানছে না হোম কোয়ারেন্টাইন, মানছে না সামাজিক দূরত্ব।
এক সাক্ষাৎকারে, সাংবাদিক ফারক আহমেদ হতাশা প্রকাশ করে বলেন, মাগুরা জেলার বাল্য, ধনপাড়া, হাজিপুর, চাপড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের দৃশ্য আমাকে হতাশ করেছে। শুধু গ্রামই নয় প্রায় প্রতিটি গ্রামের বাজারের দৃশ্য এমন হচ্ছে।
এখানে শহরের দৃশ্য আর গ্রামের দৃশ্য পুরোপুরি উল্টো। গ্রামগঞ্জের মানুষগুলো মানছে না হোম কোয়ারেন্টাইন।
মহিলারা বিনা কারনে এবাড়ি ওবাড়ি ঘুরে বেড়াচ্ছে। যুবকেরা করোনার ভয়াল রুপরেখা জানলেও গ্রামের দোকান গুলোতে আড্ডা দিচ্ছে। একসঙ্গে দলবেঁধে ঘুরে বেড়াচ্ছে খেলাধুলাও করছে। বজায় রাখছে না সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব। সাপ্তাহিক হাট বাজার বসছে নিয়মিত।
যেন স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন তারা। তিনি বলেন গ্রামের ২৫% লোক সচেতনতা মানে। তাও প্রপারলি না। এ ব্যাপারে সবাই ভালোভাবে বুঝছে না বা বোঝার চেষ্টাও করছে না।
তিনি আরও বলেন, করোনা উপসর্গে টোটাল ফোন কলের ০.১৪ শতাংশ এর স্যাম্পল টেস্ট করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন প্রশাসন আসলে দোকানপাট বন্ধ করে দেয় ব্যবসায়ীরা ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে আড্ডারত মানুষ। পুলিশ ও সেনাবাহিনী প্রশাসন চলে গেলেই আবার সেই একই অবস্থা।
তিনি আরও বলেন প্রশাসনের প্রতিটি দোকানে বা গ্রামের প্রতি বাড়িতে এসে একবার পুরো বিষয়টি ভালোভাবে বলে যাবে। মসজিদের ইমামগন মুসল্লিদের বলবে ঘরে থেকে নামাজ আদায় করতে।
দোকানিদের বলতে হবে দোকানে কেনাবেচা চলবে কিন্তু আড্ডা হবে না, আইন অমান্য করলে সিলগালা করে রাখতে হবে। সমাজে যারা সচেতন তারা আশেপাশের মানুষদের সচেতন করার চেষ্টা করবে, প্রয়োজনীয় উপকরণের ব্যবস্থা করবে।
প্রতিটা বাড়ি আলাদা আলাদাভাবে লকডাউন থাকবে। প্রতিটা মানুষ একজন অন্য জন থেকে সবসময় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে প্রয়োজনীয় কথা বলবে। টাকা দেওয়া এবং গ্রহণের সময় ব্লিচিং পাউডার মেশানো পানি স্প্রে ব্যাবহার করতে হবে।
টাকা ধরার পর সাবান হাত ধুয়ে নিতে হবে। দোকানে কেনাকাটা শেষ হলে দোকান ত্যাগ করে বাসায় গিয়ে ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিবেন।
প্রশাসন বা পুলিশ বা সেনাবাহিনী প্রধান শহরে বেশি টহল দেয়। পুলিশ যদি গ্রামগুলোতেও বেশি বেশি টহল দিতে থাকে তাহলেই সামাজিক দূরত্ব মেনে চলবে সবাই। অকারণে বসে বসে খোশগল্প আর চায়ের আড্ডায় সময় কাটাতে সাহস পাবে না।সকলেই হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলবে।