Sharing is caring!
মু,ইসমাইল হোসাইন (রনি), লক্ষীপুর প্রতিনিধি :
সারা দেশের মতো কারাগারও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে। এরমধ্যে লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারে ধারণক্ষমতার চেয়ে ৩ গুণের বেশি হাজতি ও কয়েদি রয়েছে।
বাধ্য হয়ে তাদের গাদাগাদি করে রাখতে হচ্ছে।
ফলে বন্দিদের ঘুমানো ও গোসল করাসহ প্রতিদিন নানা সমস্যায় হিমশিম খাচ্ছেন কারা কর্তৃপক্ষ।
এ অবস্থায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কারাগার কর্তৃপক্ষ।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, জেলা কারাগারে বন্দিদের রাখার জন্য ৪টি পুরুষ ও ১টি নারী ওয়ার্ড রয়েছে। ধারণক্ষমতা মোট ২৯৫ জন। অথচ (২এপ্রিল) বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত নারী ১৩ জনসহ বন্দি আছে ৭০৭ জন।
আজকে অভিন্ন শত্রু করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দল মত নির্বিশেষে সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
কারাগারে ধারণ ক্ষমতার অনেক বেশি বন্দী গাদাগাদি করে অবস্থান করছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমনের ঝুঁকি ও আশঙ্কা রয়েছে সর্বত্র। কারাগারে যেসব রাজনৈতিক নেতাকর্মী সমর্থক ও বয়ষ্ক কারাবন্দী রয়েছেন তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে মুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। বিশ্বের অনেক দেশ বন্দী মুক্তির বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে জেলা কারাগারের জেলার সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সচতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা ও সর্বক্ষনই মনিটরিংয়ের আওতায় রয়েছে।
নতুন বন্দিদের কারাগারের ভিতরে ঢোকানোর আগে প্রধান গেটে সাবান ও হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে ভালো করে হাত মুখ ধোয়ানো হচ্ছে। এভাবে প্রাথমিকভাবে তার সুস্থতার বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর ভিতরে ঢোকানো হচ্ছে।
এছাড়া কারাগারের রন্ধনশালা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি খাবারসমূহ ভালোভাবে সিদ্ধ হওয়ার পর পরিবেশন করা হচ্ছে।
এদিকে জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের পরামর্শে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, দুবাই, সিঙ্গাপুর, কঙ্গো, সুদান, ইতালি, গ্রীস ও ভারত থেকে আসাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। সকলে সুস্থ এবং স্বাভাবিক রয়েছে।