Sharing is caring!
এম এ সালাম রুবেল, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ
মরনঘাতী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দিনরাত সমানতালে ছুটে চলছেন উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে,এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে। একবার নিজ কাঁধে হ্যান্ডমাইক ঝুঁলিয়ে বাজারে বাজারে গিয়ে জনসাধারণকে করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করার চেষ্টা করছেন।
আবার কখনও দাঁড়িয়ে থেকে হাটে-বাজারে ছিটাচ্ছেন জীবাণুনাশক ঔষধ এবং কখনো কখনো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বিভিন্ন বাজারের দোকানের সামনে দিচ্ছেন সামাজিক দূরত্বের গোল চিহ্ন। করোনা প্রতিরোধে শনিবার সারাদিন কাজ করেও রাতে বেরিয়ে পড়েছেন উপজেলার বিভিন্ন বাজারে। দিনমজুর হতদরিদ্র ও অসহায়দের হাতে নিজেই তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া চাল-ডালসহ নিত্যপণ্য। তিনি হলেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল-মামুন।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল-মামুনের আন্তরিক প্রচেষ্টা দৃষ্টি কেড়েছে ঠাকুরগাঁওবাসীর। মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি। করোনা মোকাবিলায় জরুরি সভা, হাটবাজারে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো, সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ ও দিনমজুরদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ সবই সামলাতে হচ্ছে তাকে এবং বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও চালাচ্ছেন বিভিন্ন সচেতনতা মূলক কার্যক্রম ও দিচ্ছেন দিকনির্দেশনা।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যে ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন,তা সত্যিই প্রশংসনীয় বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন ব্যক্তিরা। তারা বলছেন, আন্তরিকতা থাকলে একজন ইউএনও একটি উপজেলার জন্য অনেক কিছু করতে পারেন; ঠাকুরগাঁওয়ের বর্তমান ইউএনও আব্দুল্লাহ আল-মামুন তারই উদাহরণ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ঠাকুরগাঁও বাসীর জন্য আমার যা যা করণীয় আমি তাই করবো। মাননীয় জেলা প্রশাসক স্যার মহোদয়ের নির্দেশে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। এখানকার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরাও খুবই আন্তরিক। তাদের কারণেই প্রতি মুহূর্তে কাজ করার উৎসাহ পাচ্ছি।