Sharing is caring!
মোঃ জাহান জেব কুদরতী, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাট জেলার সুন্দরবন সংলগ্ন ও দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর হলো মোংলা উপজেলা।এই উপজেলারই প্রাচীন ঐতিহ্য খ্যাত খোনকারেরবেড়(সাহেবের মেঠ) এলাকার মোল্যা পরিবার।
সেই মোল্যা পরিবারের গর্ব ও অহংকার ছিলেন ব্লাক ডায়মন্ড খ্যাত জননেতা মোল্যা আব্দুল জলিল। সদা হাঁসি খুঁশির অবয়ব ও চলন বলন তাঁকে ধীরে ধীরে এতোটাই মহিয়ান করেছিলো যে-দলমত নির্বিশেষে সকলেই উনাকে শ্রদ্ধা করতেন ও ভালবাসতেন মন প্রান উজাড় করে।শত দুঃখ-কস্ট,বেদনা-অনুশোচনা,নিরবতা-নিঃসংগতা সর্বোপরি বেশ খানিকটা দারিদ্রতাও তাকে টলাতে পারেনি জনসেবা হতে।
নিজে না খেয়ে,নিজে সম্পদ না গড়ে, চোখ বন্ধ করে মানুষকে করেছেন সহযোগিতা।উচ্চ শিক্ষিত(এম,এ পাশ)রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মেধাবী ও তুখোড় ছাত্রনেতা ছিলেন এই ক্ষনজন্মা মহৎ মানুষটি।ছাত্র থাকাকালীন ই তৎকালীন মোংলা উপজেলার স্ব-নাম ধন্য চেয়ারম্যান তাঁর আপন চাচা মোল্যা আঃরশিদ(মরহুম) এর হাত ধরে লোকাল রাজনীতিতে প্রবেশ করেন তিনি।তার আচার-আচরন ও চেহারার কারিশমায় তিনি হয়ে জান বাগেরহাট জেলার সর্ব কনিষ্ঠ জন প্রতিনিধি (চেয়ারম্যান)।টিপটপ রুচিশিল মানুষ হিসেবে দলমত এবং ধর্মকর্মের উর্ধে গিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন ন-হিংসুক একজন গরীবের বন্ধু হিসাবে।
পর পর কয়েক বার নির্বাচিত হন মিঠাখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। নির্বাচিত হন মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র হিসাবেও। নির্বাচন করেন একাধিক বার মোংলা উপজেলার চেয়ারম্যান পদে।নিয়তির নির্মতায় তিনি শুনতে পারেন নাই বা স্বাদ পান নাই বাবা হবার।তার রাজনৈতিক মেধা ও ধারাবাহিকতা তাকে নেবার কথা অনেক অনেক উচ্ছে।কিন্তূ রাজনৈতিক হিনমন্যতার শিকার হয়ে তিনি কিছুটা স্তিমিত হয়ে পড়েন শেষ জীবনে।তাঁর ৬০ বছরের জীবন অধ্যায়ে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে শহীদ জিয়ার আদর্শকে বুকে লালন করে গেছেন।দীর্ঘ কয়েক বছর মোংলা উপজেলা বি,এন,পি’র সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।জেলা বি,এন,পি’র ছিলেন বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, ছিলেন পৌর বি,এন,পি’র সহ-সভাপতিও। শিক্ষানুরাগী এই ব্যক্তিটি ছিলেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতিও।
বিশ্বের এই চরম ক্রান্তি লগ্নে মহান এই বীর গতকাল বেলা ১২.৫০ মিনিটের সময় কিডনি জনিত শমস্যায় চলে যান না ফেরার দেশে(ইন্না ইন্না-লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন)।
আমরা তাঁহার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি।