Sharing is caring!

এম আকাশ,সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার কোল ঘেষেই অবস্থিত বিশ্ব বিখ্যাত লোনা পানির সুন্দরবন। ১১৪ টির বেশী রয়েল বেঙ্গল টাইগারের এক অভায়রন্য সুন্দরবন । হিংস্র পশুর বাস হওয়া সত্বেও এই জায়গা টি অপরাধের স্থান হিসাবে বেছে নিছে এক শ্রেণির মানুষ নামের অমানুষ রা। প্রতিনিয়ত তারা জেলে, পর্যটকদের অপহরন করে আদায় করছে মোটা অংকের টাকা। কোনো কোনো সময় তাদের চাহিদা পূরনে ব্যর্থ হলে বলি হচ্ছে সতেজ প্রানও। এক লাখ আশি হাজার টাকা পরিশোধের পরও জিম্মিদশা থেকে মুক্তি মেলেনি শ্যামনগর উপজেলার পাতাখালী চন্ডিপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে আব্দুল মান্নানের। সে একই এলাকার আবু সালেহ নামের এক ব্যক্তির নৌকার শ্রমিক হিসেবে মাছ শিকারে সুন্দরবনে যেয়ে বনদস্যুদের হাতে অপহৃত হয়।
এদিকে অপহরণকারী জোনাব বাহিনী কয়রা এলাকার কামরুল কোম্পানীর প্রধান কামরুল ও তার সহযোগী রজব কলই’র মদদপুষ্ট মর্মে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় মান্নানের মুক্তি মিলছে না বলে দাবি করেছে তার পরিবার। উল্লেখ্য ৩ জুন পশ্চিম সুন্দরবনের ইলশেমারী খাল থেকে জোনাব বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে একদল বনদস্যু আব্দুল মান্নানকে অপহরন করে।
জিম্মি জেলের ভাই আব্দুল মাজেদ জানিয়েছে বনদস্যুরা শুরুতে ছয় লাখ টাকা দাবি করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে মুক্তিপণের টাকা নির্ধারিত হয় দুই লাখ। তার দাবি গত পাঁচ দিন পুর্বে ভাইয়ের মুক্তিপণের এক লাখ আশি হাজার টাকা নির্ধারিত বিকাশ নম্বরে পাঠানো হয়। মুক্তিপণের টাকা প্রেরণের পরও ভাইয়ের মুক্তি না দেয়ায় গোটা পরিবার চরম উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আব্দুল মাজেদ অভিযোগ করেন, তার ভাই অপহরণের পরপরই বিভিন্ন সংবাদপত্রে বিষয়টি প্রকাশ হয়। এসময় প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয় কয়রার কামরুল কোম্পানীর প্রধান কামরুল এবং রজব কলই এর পক্ষে জোনাব বাহিনীর সদস্যরা কাজ করে। আর এমন সংবাদ প্রকাশের কারনে কামরুলের হস্তক্ষেপের কারনে জোনাব বাহিনীর কবল থেকে মান্নানের মুক্তি মিলছে না।
এদিকে জোনাব বাহিনী হাতে জিম্মি জেলের মালিক আবু সালেহ এর বরাত দিয়ে একটি সুত্র জানিয়েছে মুক্তিপণের টাকা পরিশোধের পরও মান্নানকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে না কামরুলের আপত্তিতে। কামরুল-রজবের পক্ষে ঐ বনদস্যু গ্রুপটি কাজ করে- এমন অভিযোগ ওঠায় ক্ষুব্ধ কামরুল জোনাব বাহিনীর দাবিকৃত টাকা পরিশোধের পরও জিম্মি জেলের মুক্তিতে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে। মান্নানের অপহরণকারী জোনাব বাহিনীর মদদদাতা হিসেবে উল্লেখ করায় ক্ষুব্ধ কামরুল মুটোফোনে তাকে হুমকি দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন আবু সালেহ।
সুন্দরবনে কর্মরত জেলেদের দাবি কামরুল-রজব এর প্রায় দুই শতাধিক নৌকা মাছ ও কাঁকড়া শিকার করে সুন্দরবনে। তার নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় অন্যরা যেন মাছ ও কাঁকড়া শিকার না করে সেজন্য কামরুল এহেন অরাজকতার সৃষ্টি করে। সরকার অপরাধীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স জারি করলেও আজও গ্রেফতার হয় নি উক্ত বাহিনীর কেউ,রয়ে গেছে তারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে।