Sharing is caring!

মোঃ মালিক মিয়া কমলগঞ্জ প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ২নং রামচন্দ্রপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝুকিপুর্ণ রুমের পার্শ্বে নির্মিত গাইড ওয়াল নির্মাণ কাজ সমাপ্তের এক দিন পরই ধসে পড়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর হতে স্কুলের মেরামত বাবদ দেড় লাখ টাকা বরাদ্ধ করা হয়। এই টাকা স্কুল কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক কাউকে কোন কিছু না বলেই নিম্মমানের মালামাল ও নিজেদের ইচ্ছামাফিক গাইড ওয়াল ও স্কুলের জানালা দরজা নাম মাত্র মেরামত করে টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছেছিলো এলাকা জুড়ে। ১০ ফুট উচ্চতা ও ৪০ ফুট লম্বা গাইড ওয়ালটি ২৮ জুন রোজ শুক্রবার রাতে ধসে পড়ে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের দক্ষিন পাশের শেষ রুমটি ঝুকিপুর্ণ অবস্থায় রয়েছে। রুমের শেষ প্রান্তের মাটি কেটে ১০ফুট উচ্চতা ও ৪০ ফুট লম্বা গাইট ওয়ালটি ধসে মাটিতে পড়ে আছে। এতে কোন ধরনের রড বা পিলার ব্যবহার করা হয়নি। নিচের দিকে বেইজও দেয়া হয়নি। খুবই নিম্মমানের কাজ করায় শুক্রবার বিকালে বৃষ্টি হওয়ায় দেয়ালটি ধসে পড়ে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্কুল কমিটির মান্নান মিয়া ও প্রধান শিক্ষক নেপাল চন্দ্র দাস উভয়ই মেরামত কাজ নিজেদের ইচ্ছা মাফিক করেন। এলজিইডি বিভাগ ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে কোন কিছুু অবগত না করেই গাইড ওয়াল তৈরি করেন তারা। এলজিইডি বিভাগের নকশা অনুয়ায়ী কাজ না করে প্রায় ১ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হলেও নামমাত্র কোন ধরনে পিলার রড না দিয়েই প্রায় ৪০ ফুট লাম্বা গাইড ওয়াল এর কাজ সমাপ্ত করেন। এতে করে শুক্রবার বৃষ্টি দেয়ায় গাইট ওয়াল ভেঙ্গে পড়ে। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক নেপাল চন্দ্র দাসের সাথে মোবাইল ফোনে বিষয়টি ব্যাপারে জানতে চাইলে, তিনি বলেন গাইট ওয়াল ব্যয় হয়েছে এক লাখ টাকা। ইঞ্জিনিয়ার অফিসের নকশা অনুয়ায়ী কাজ করেছি। নকশা আমার কাছে রয়েছে।
অপর দিকে কমলগঞ্জ উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মামুন ভুইয়া জানান, স্কুলের গাইড ওয়াল নিমার্নের জন্য একটি নকশা তৈরী করা হলেও পরবর্তীতে কোর ধরনের যোগাযোগ করা হয়নি। তারা নিজ ইচ্ছা মাফিক গাইড ওয়াল করায় এ ঘটনা ঘটেছে। বিকালে সরেজমিনে দেখে এসেছি কাজটি খুবই নিম্মমানের হয়েছে।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন বলেন, আমি জেনেছি, তবে বিষয়টি স্কুল ম্যানেজিং ও এলজিইডি বিভাগের ব্যাপার।