২১শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

ছাতকে দাবদাহে স্থবির জনজীবন

admin
প্রকাশিত জুন ২৪, ২০১৯
ছাতকে দাবদাহে স্থবির জনজীবন

Sharing is caring!

জামরুল ইসলাম রেজা , ছাতক থেকেঃ

ছাতকে প্রচন্ড দাবদাহ ও ভ্যাপসা গরমে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। ক’দিন ধরে হঠাৎ করে তাপমাত্র বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রচন্ড খরতাপে শুধু মানুষ নয়, প্রাণীকুল পর্যন্ত অস্থির হয়ে পড়েছে। প্রখর তাপ এবং ভ্যাপসা গরমের কারনে মানুষজন সকাল থেকে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না। ভ্যাপসা গরমে অধিক মাত্রায় ঘাম ও ক্লান্তি চলে আসায় খেটে-খাওয়া মানুষদের পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ। বিশেষকরে শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য সময়টা মোটেই ভাল যাচ্ছে না। এছাড়া হঠাৎ করে গরমে তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে বিভিন্ন রোগের প্রকোপ। জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্টজনিত রোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বৃদ্ধ ও শিশুসহ প্রায় সব বয়সের লোকজন।

উপজেলার জাউয়াবাজার, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও, চরমহল্লা, ছাতক সদরের পৌর শহরসহ কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে প্রখর সূর্যের তাপ এবং লু-হাওয়া বয়ে যাওয়ায় এখানকার স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় নেমে এসেছে স্থবিরতা। প্রচন্ড গরমে মানুষজন চরম কষ্টে দিনাতিপাত করছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে জনশূন্য হয়ে পড়ছে শহর-গঞ্জের রাস্তাঘাট। ভ্যাপসা গরমের বিরূপ প্রভাব পড়েছে কর্মক্ষেত্রেও।

প্রচন্ড গরমে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে দিনের স্বাভাবিক কাজকর্ম। বিশেষকরে এ সময়টাতে শ্রমজীবী খেটে-খাওয়া দিনমজুরদের যেনো দুর্ভোগের অন্ত নেই। অনেককেই কাজ কর্ম ফেলে একটু প্রশান্তি নিতে গাছের ছায়ায় বসে থাকতে দেখা গেছে। কেউ কেউ গরমে প্রশান্তি লাভে তৃষ্ণা নিবারণে কিনে খাচ্ছেন ডাব, শরবত, খাবার স্যালাইন, আইসক্রিম, শসাসহ হরেক রকমের পানীয়।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বৃষ্টির আনাগোনা কমে যাওয়ায় এবং প্রখর রোদ নিয়ে সূর্য উদিত হওয়ায় সকাল থেকেই অসহ্য গরম অনুভুত হচ্ছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে এর মাত্রা অসহনীয় আকার ধারণ করে। এখানে গরমের সাথে লোডশেডিংও যেনো সমানতালে পাল্লা দিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিনই একাধিকবার বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করছে। কখনো কখনো ১/২ ঘন্টা পর্যন্ত বিদ্যুতের দেখা মিলছে না। এতে প্রচন্ড গরমে মানুষজন অনেকটা দিশেহারা হওয়ার অবস্থা। প্রচন্ড গরমে বাসা-বাড়ির আঙ্গিনা আর গাছের ছায়াই যেনো এখন তাদের একমাত্র ভরসা।

অন্যদিকে, হঠাৎ করে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত নানা রোগের প্রাদুর্ভাব। প্রতিদিনই জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্টজনিত রোগ, ডায়রিয়া, নিওমোনিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন লোকজন। বিশেষকরে বৃদ্ধ ও শিশুদেরকে নিয়ে প্রতিদিনই হাসপাতালে এসে ভিড় করছেন রোগীর স্বজনরা। এ অবস্থায় চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পাশাপাশি রোগ সংক্রমণ থেকে বাঁচতে নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করতে দেখা গেছে স্থানীয় চিকিৎসকদের।