১৯শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৮শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

চট্রগ্রাম নগরীর ২ নম্বর গেট রেল ক্রসিং যেন মরণফাঁদ

admin
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৯, ২০২০
চট্রগ্রাম নগরীর ২ নম্বর গেট রেল ক্রসিং যেন মরণফাঁদ

Sharing is caring!

Manual4 Ad Code

আব্দুল করিম চট্রগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান

Manual1 Ad Code

চট্রগ্রাম নগরীর ষোলশহর ২ নম্বর গেট রেল ক্রসিং এ দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণভাবে রেল পারাপার করে আসছে। সড়কের উপর ও রেল লাইনে বসেছে অবৈধ বাজার। এছাড়াও রেল চলাচলের সময় লেভেল ক্রসিংয়ের বার ফেলা হয় না। এমনকি ট্রেন চলাচলের সময়ও মানুষ ও যানবাহন পারাপার হয়। এ অবস্থায় গেটম্যান থাকলেও অসাবধানতার কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যায়।নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বায়েজিদ বোস্তামী সড়কের ষোলশহর ২নম্বর গেট দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। চলাফেরা করে কয়েক লাখ মানুষ। এই লাইন দিয়ে চট্টগ্রাম-বিশ্ববিদ্যালয়গামী দুইটি শার্টল ট্রেন, নাজিরহাট, দোহাজারীগামী লোকাল ট্রেন, একটি ডেমু, দুইটি মালবাহী ও তেলবাহী ট্রেন যাতায়াত করে। বিশ্ববিদ্যালয়গামী এ শাটল ট্রেনগুলো প্রতিদিন সকাল বিকাল ও রাত মিলে ১৮ বার যাতায়াত করে। মাল-তেলবাহী ট্রেন ও ডেমুসহ নাজিরহাট দোহাজারীগামী লোকাল ট্রেনগুলো দিনে ছয় থেকে সাতবার যাতায়াত করে। এ সড়ক দিয়ে অক্সিজেন, বায়েজিদ ও নগরীর বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ কয়েক লাখ মানুষ যাতায়াত করে। তাই এ সড়কের লেভেল ক্রসিং অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে নেই পর্যাপ্ত গেটকিপার। মাত্র একজন গেটকিপার দ্বারা সারাদিন এটি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আবার সড়কের দুইপাশের লেভেল ক্রসিং দুইটি ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এরমধ্যে একটি পুরোপুরি অকেজো হয়ে পড়েছে। ট্রেন আসার সময় গেটকিপার শুধু লাল পতাকার দিয়ে সিগন্যাল দেয়।স্থানীয়রা জানায়, রেল লাইনের উপর অবৈধ দোকান ও পথচারীদের সরাতে একজন গেটকিপারকে হিমশিম খেতে হয়। গত বছরের অক্টোবর মাসে বাজার করতে এসে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান এক ব্যক্তি।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ আকরাম মিয়া বলেন, শুধু অনিরাপদ লেভেল ক্রসিংই নয়, রেললাইনের উপর ভাসমান দোকানিরা সবজি, ফল, বিস্কুট ও নানারকম জিনিসপত্র বিক্রি করে। আর এই দোকানীদের ট্রেন আসছে মুখে বলতে বলতেও এরা শুনেনা। আবার তাদের থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র কেনাকাটা করে পুরুষ ও নারী-শিশুরা। দুই নম্বর গেট এলাকায় এমন অনাকাঙ্খিত ট্রেন দুর্ঘটনা বেশ কয়েকবার ঘটেছে। নিরাপত্তার জন্য এখানে এক শিপ্টের জন্য দুইজন করে গেটকিপার দেয়া প্রয়োজন। কিন্তু সেখানে আছে মাত্র একজন। আর লেভেল ক্রসিংগুলো ঠিক করা দরকার। যাতে ট্রেন আসার আগে সড়কের উপর লেভেল ক্রসিং দুইটিই ফেলা যায়। এটি করা গেলে কোনো গাড়ি ঝুঁকি নিয়ে পার হতে পারবে না।

Manual7 Ad Code