১৯শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৮শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

শ্রীপুরে হাফেজ ছেলের চিকিৎসার সহায়তা চাইলেন রিকশাচালক বাবা

admin
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৮, ২০২০
শ্রীপুরে হাফেজ ছেলের চিকিৎসার সহায়তা চাইলেন রিকশাচালক বাবা

Sharing is caring!

Manual6 Ad Code

আবুসাঈদ শ্রীপুর(গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ রিকশা চালিয়ে কোনো মতে সংসার চালিয়ে আসছেন নজরুল ইসলাম। এক ছেলে ও এক মেয়ে আর অসুস্থ স্ত্রী শাহানাজকে নিয়ে তার পরিবার। একমাত্র ছেলে সন্তানকে কোরআনের হাফেজ করার ইচ্ছে ছিল দীর্ঘদিনের। স্থানীয় একটি হাফেজি মাদ্রাসায় ভর্তির পর স্বল্প সময়ে ২৭ পারা মুখস্ত করেছিলেন ছেলে শামীম । এর পাশাপাশি ভাংনাহাটি রহমানিয়া কামিল মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়তো সে। হঠাৎ অজানা এক রোগে মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে এখন প্রতিবন্ধী। আস্তে আস্তে শারীরিকভাবেও অক্ষম হতে চলেছে সে। এমন মুহুর্তে অসুস্থ হাফেজের চিকিৎসার ব্যয়ভার মেটানো সম্ভব হচ্ছে না গাজীপুর শ্রীপুরের রিকশাচালক নজরুল ইসলামের।
মানষিক প্রতিবন্ধী শামীম রানা (২১) পৌর এলাকার শ্রীপুর গ্রামের রিকশাচালক নজরুল ইসলামের ছেলে। সে ২৭ পারা কোরআনের হাফেজ।

Manual5 Ad Code

৫-৬ জানুয়ারি টিন সেটের কুঁড়ে ঘরে কথা হয় তার পরিবারের সাথে। এসময় জানা যায়, ছেলের চিকিৎসার জন্য অসহায় বাবা-মায়ের জীবন সংগ্রাম। একবেলা খাবার না খেয়ে সে টাকায় ছেলের ঔষধ কেনার হৃদয়বিদারক অভিজ্ঞতা।
মানষিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ আবু রায়হান জানান,এসকল রোগীরা ডাক্তারের উপদেশ মেনে চলতে অনেক সময় দ্বিধাবোধ করেন। অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ওষুধ খাবার জন্য রোগীরা মানসিক বা আর্থিকভাবে প্রস্তুত থাকেন না। মৃগীরোগ, বাতজ্বর প্রভৃতি রোগেও কয়েক বছর ওষুধ খাবারের ব্যাপারটিও এখন রোগীরা স্বাভাবিকভাবেই গ্রহণ করছেন। বিভিন্ন মাধ্যম ও পর্যায়ে দীর্ঘদিনের প্রচারণা, তথ্য সরবরাহ ও শিক্ষার কারণেই এসব রোগের চিকিৎসা ও ওষুধের ব্যাপারে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক। কিন্তু মানসিক রোগে ওষুধ দীর্ঘমেয়াদে সেবনের ব্যাপারে সমাজের সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গি এখনো নেতিবাচক। কিছুদিন ওষুধ খাওয়ার পর রোগী যখন ভালো বোধ করেন বা উপসর্গ কমে যায়, তখন রোগী বা তার আত্মীয়স্বজন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ওষুধ খাওয়ানো বন্ধ করে দেন। ফলে, রোগীর সঠিক চিকিৎসা হয় না। এবং কিছুদিন পর রোগীর উপসর্গ আবার ফিরে আসে। তাই কষ্ট হলেও ঔষধ খাইয়ে যেতে হবে।

কাঁদতে কাঁদতে অসুস্থ শামীমের পিতা নজরুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলেটা ২৭ পারা হেফজ করেছিল। গত চার বছর আগে হঠাৎ ছেলেটার এমন সমস্যা দেখা দেয়। প্রথমে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিউরো সায়েন্স বিশেষজ্ঞ দেখাইছি। তাদের পরামর্শে পাবনা মানষিক হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে ৫মাস ভর্তি ছিল। এরপর তাদের দেয়া প্রেসক্রিপশনে ১৫ প্রকারের ইনজেকশন ও ট্যাবলেট লিখে দেয়া হয় । যা দীর্ঘদিন খাইয়ে যেতে হবে। আমি একজন ভাড়ায় রিকশা চালক। সারাদিন যা রোজগার করি তা-হতে রিকশার মালিকের জমা ও পরিবারের খাবারের টাকা হয়। ডাক্তারের পরামর্শ ক্রমে তাকে দীর্ঘদিন চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা আমার নাই।তাই হাফেজ ছেলের চিকিৎসার জন্য সকলের সহযোগিতা চাই। একটু দয়া করুন।

Manual7 Ad Code

যোগাযোগের ঠিকানাঃ- রিকশাচালক নজরুল ইসলাম পৌরসভা+ গ্রাম- শ্রীপুর
জেলা-গাজীপুর। নজরুল ইসলামের ফোন নাম্বার (বিকাশ)–01933990652

Manual1 Ad Code