১৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ঝালকাঠিতে আটক হওয়া সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি মিলন অস্ত্র মামলায় রিমান্ডে

admin
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৬, ২০২০
ঝালকাঠিতে আটক হওয়া সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি মিলন অস্ত্র মামলায় রিমান্ডে

Sharing is caring!

Manual3 Ad Code

সৈয়দ রুবেল ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধিঃ

ঝালকাঠিতে আটক হওয়া সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি হাদিসুর রহমান মিলন ওরফে সৈয়দ মিলনকে অস্ত্র মামলায় তিনদিনের রিমান্ড এনেছে পুলিশ।

Manual4 Ad Code

১৫/০১/২০২০ইং তারিখ জানুয়ারী বুধবার দুপুরে পুলিশের দায়েরকৃত অস্ত্র মামলায় সৈয়দ মিলনকে ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। পুলিশের আবেদন আমলে এনে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

Manual1 Ad Code

প্রসংঙ্গত জেলা শহরের বিকনা এলাকার কামাল হোসেন হাওলাদার নামের এক ঠিকাদারের কাছে মাসিক ৫০ হাজার টাকা চাঁদার দাবী করে আসছিলো সৈয়দ মিলন। চাঁদার বিষয় ঠিকাদার কামাল স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে সৈয়দ মিলন ক্ষিপ্ত হয়ে তার লোকজন নিয়ে ০৫/০১/২০২০ইং তারিখ ঠিকাদার কামাল হোসেনকে মারধর করে।

Manual7 Ad Code

পরে কামাল হোসেনকে মারধরের ঘটনায় সৈয়দ মিলন সহ ৭ জনকে অভিযুক্ত করে ঝালকাঠি সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে। কামালের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৪/০১/২০২০ইং তারিখ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে শহরের ডাক্তারপট্টি এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা মিলনের বাসায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র ১১টি দেশীয় ধারালো রামদা ও ৪টি জি আই পাইপ উদ্ধার পূর্বক সৈয়দ মিলন ও তার ৩ সহযোগীকে গ্রেফতার করে।

একই রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজি মামলার অভিযুক্ত অারো দুইজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বুধবার ঝালকাঠি সদর থানায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাদিসুর রহমান মিলন সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন ঝালকাঠি সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি তরিকুল ইসলাম অপু সহ মামুন খান, ও সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করে অভিযুক্ত মিলনকে আদলতে হাজির করে পুলিশ ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদলত তিন দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুরের পাশাপাশি অপর অভিযুক্তদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

Manual4 Ad Code

এ বিষয় সদর থানার ওসি মো. খলিলুর রহমান জানান, শহরের এক ঠিকাদার কালামের দায়ের করা চাঁদাবাজির মামলায় প্রথমে মিলনের বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনার সময় অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয় সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন । পরে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তার সহযোগি হিসেবে পরিচিত তরিকুল ইসলাম অপু, মামুন খান, সাইফুল ইসলাম, পলাশ দাস ও মামুনুর রশিদ মামুনকে গ্রেফতার করা হয়। সৈয়দ মিলন, তরিকুল ইসলাম অপু, মামুন খান এবং সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও চাঁদবাজির দুটি মামলাই হয়েছে। অপরদিকে পলাশ দাস ও মামুনুর রশিদ ওরফে মামুনকে ঠিকাদারের দায়ের করা চাঁদাবাজির মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হয়। এ মামলার আরেক অভিযুক্ত এখনও পলাতক রয়েছে।