Sharing is caring!

সুমন মল্লিক বিশেষ প্রতিনিধি :
র্যাব-৮ এর একটি দল পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া পৌর শহরে আজ সোমবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে ৪ জন ভুয়া দন্ত চিকিৎসক ও একজন হারভাঙা চিকিৎসককে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেছে। এ ছাড়া ৫জন ভুয়া চিকিৎসকের ৫টি চেম্বার ও ক্লিনিক সিলগালা করা হয় এবং ক্লিনিকের ঘর মালিকের কাছ থেকে জড়িমানা আদায় করা হয়। আর কিছু চিকিৎকরা পালিয়ে যায় চেম্বার বন্ধকরে অভিযান চলা কালে ।হাড়ভাঙা ক্লিনিকের মালিক ও চিকিৎসক শামীম আকনকে ২ বছরের জেল, দন্ত চিকিৎসক ও জনতা দাতঘরের মালিক মোঃ ফাইজুল হক রানাকে ৬ মাস, পলাশ ডেন্ডাল এন্ড হারবাল কেয়ারের মালিক মহিউদ্দিন আহমেদ পলাশকে ৬ মাস, বেঙ্গল ডেন্টাল কেয়ারের মালিক ও দন্ত চিকিৎসক জসিম উদ্দিন শাহীনকে ৪মাস, লাকি ডেন্টাল কেয়ার এর মালিক ও দন্ত চিকিৎসক মোঃ বাবুল হোসেন নিরবকে ২ মাস এবং ঘর মালিক আব্দুল কাদের হাওলাদার হাড়ভাঙা ক্লিনিকের কাছে ঘর ভাড়া দেয়ায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। উল্লেখিত ৫জন ভুয়া ডাক্তারের চেম্বার ও ক্লিনিক সিলগালা করা হয়। প্রকাশ থাকে যে শামীম আকন বহুদিন ধরে জাব দিয়ে ভাঙ্গা হাড় জোড়া লাগানোর মত চিকিৎসা দিয়ে আসছে। এক্ষেত্রে সে গাছগাছালি ছাড়াও গরুর মূত্র চিকিৎসা উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে এবং ইট দিয়ে ভাঙ্গা হাত বা পায়ে টানা দেয়। তার কোন ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকার পরেও এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ রোগের চিকিৎসা করে। তার ক্লিনিক থেকে ৫ জন রোগীকে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এ অভিযানের সময় পিরোজপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াছিন খন্দকার, র্যাব-০৮ এর সহকারি পরিচালক এ.এস.পি মোঃ ইতেখারুজ্জামান ও মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ এ. এইচ. এম. ফাহাদ, তাদের সম্মূখে তারা তাদের স্বপক্ষের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং দোষ স্বীকার করায় ভ্রাম্যমান আদালত তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করে।