Sharing is caring!

মোঃ আবুল হাসেম,বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি :
শুভ জন্মদিন সাংবাদিক ফরিদ উদ্দীন বান্দরবানের লামা উপজেলার ক্ষুরদার সাংবাদিক ফরিদ উদ্দীন গ্রাম-বাংলা ঘুরে, রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে কঠোর পরিশ্রম করে সংবাদ সংগ্রহ করতেন।
আজ সাংবাদিক ফরিদ উদ্দিন এর শুভ জন্মদিন।
গ্রামীণ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ ফরিদ উদ্দিন মফস্বল সাংবাদিকতায় অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরিতে সংযোজন করেছিলেন ভিন্ন মাত্রা।
সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে জনমত সৃষ্টি ও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে প্রয়াসী ছিলেন চারণ সাংবাদিক ফরিদ উদ্দিন।এই ক্ষুরদার সংবাদিক ফরিদ উদ্দিনের শুভ জম্মদিনের শুভেচ্ছা।
তাহার জীবন কিছু তথ্য নিয়ে আজকের একটি প্রতিবেদন। এক গরীব সাধারণ পরিবারে ৩ জানুয়ারী ১৯৭৭ সালে সিলেট জেলা গোয়াইন ঘাট এলাকায় জন্ম গ্রহণ করেন। তাহার পিতা ছিলেন একজন কৃষক নাম ওয়াহেদ আলী, মাতা আনোয়ারা বেগমের ঘরে জন্ম গ্রহণ করেন।
পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তিনি চতুর্থ। অভাবে কারনে ১৯৮২ সালে সিলেট থেকে তার পিতা বান্দরবান জেলা লামা উপজেলায় চলে আসেন।পিতা-মাতার অভাবের সংসারে ফরিদ উদ্দীন বিএ পাশ করেন ১৯৯৬ সালে ।
পিতা মাতার শখ ছিলো ছেলেকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে কিন্তু তার বাবার মৃত্যুর পর সংসারে অভাব দেখা দিলে তিনি কর্মসন্ধানে ঢাকায় চলে আসেন।সেখানে কাপড় ফ্যাক্টরীতে কাজ শুরু করেন ওখানে বেশী দিন থাকতে পারেনি।
তার নেশা ছিলো শিক্ষার দিকে তখন ফিরে আসেন নানার বাড়ী কুমিল্লা জেলার বি পাড়া গ্রামের। সেখানে পরিচয় হয় খোদেজা আক্তারের সাথে। তার পর বিবাহিত জীবন প্রবেশ করেছেন।
প্রথম ১৯৯১ সালে ইনকিলাব পত্রিকা কাজ শুরু করেন।তার পর দৈনিক সংবাদ প্রত্রিকায় কাজ করছেন।পরে বিদেশে চলে যান দীর্ঘদিন দেশে বাহিরে কাটানো অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন ।
বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ পিপাসুদের মধ্যে তিনি একজন।
মায়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে বিদেশ ত্যাগ করে দেশে ফিরে এসে পুনরায় সাংবাদিককতা শুরু করেন।
সাংবাদিক ফরিদ উদ্দিন সাংবাদিকতার পেশাগত অভিজ্ঞতা অর্জন সমৃদ্ধ করার জন্য। বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাংবাদিক সনদ নেয়।
দেশে এসে দৈনিক মানব জমিন পত্রিকায় কাজ শুরু করেন।পাশাপাশি চট্টগ্রামের একাধিক পত্রিকার কাজ করছেন।
২০১২ সালে জিটিভিতে কাজ শুরু করেন। বর্তমানে জিটিভি কর্মরত রয়েছেন। পাশাপাশি নিজের প্রেসটিভি২৪ ডটকম নামের একটি অনলাইন পত্রিকা শুরু করেন। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ড নিউজ করে বেশ সুনাম বৃদ্ধি করেন।
চলো যাই যুদ্ধ মাদকের বিরুদ্ধে একটি কলাম লিখে প্রশাসনের সু-দৃষ্টিতে চলে আসলেন তিনি।
গ্রামের মানুষ জীবন নিয়ে নিয়মিতভাবে লেখা লেখি করতেন। একজন কলামিষ্ট, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যতিত্ব হয়ে ওঠেন সমাজে।
তাহার এক ছেলে দুই মেয়ে রয়েছে। বান্দরবান জেলার লামা প্রেসক্লাবে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালন করছেন।অনলাইন পত্রিকার সংগঠন বনপা র একজন সদস্য হিসেবে কাজ করছেন।তিনি মানুষের মৌলিক অধিকার জন্য আপ্রাণ ভালবাসায় পরিপূর্ণ সেবা দিতে মানবাধিকার কর্মী হিসাবে কাজ করছেন।
এই সদালাপী মানুষের জীবনে সড়ক দুর্ঘটনায় আঘাতে দু টি বছর পায়ে আঘাত জনিত কারনে ঘরের ভিতর বন্দি হয়ে আটকে ছিলেন।
কিন্তু সাংবাদিকতা পেশাগত লক্ষ্য ছাড়ানি। তার জীবন কিছু কথা পাঠকের কাছে তুলে ধরতে আমি দু কলম লিখলাম।