১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

সঙ্কট কাটাতে আসছে আরও ২ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ

admin
প্রকাশিত জানুয়ারি ২, ২০২০
সঙ্কট কাটাতে আসছে আরও ২ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ

Sharing is caring!

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি

● মানুষকে শান্তি ও স্বস্তিতে রাখতে হবে : তোফায়েল আহমেদ

● কৃষি থেকে চাহিদার কোনও ফিডব্যাক পাই না : টিপু মুনশি

● পেঁয়াজ নিয়ে ভবিষ্যতে সর্তক হবার তাগিদ

 

টি আই অশ্রু,অভিযোগ প্রতিবেদক ::
৩১ মার্চের (মঙ্গলবার) মধ্যে ৪ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

 

তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসন্ন রমজানের আগে সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, এস আলম গ্রুপের মাধ্যমে দেড় লাখ মেট্রিক টন ও টিসিবির মাধ্যমে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। বড় গ্রুপের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি আমদানিকারকদেরও পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকবে।

 

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন মাহে রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত, সরবরাহ, আমদানি, মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ব্যবসায়ী, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় এসব কথা জানান তিনি।

 

সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, সচিব জাফর উদ্দিন, প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান মফিজুল রহমান, মেঘনা গ্রুপের মোস্তফা কামাল, সিটি গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, এফবিসিসিআই প্রতিনিধি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, ছোলা, চিনি, খেজুর আমদানিকারকরা উপস্থিত ছিলেন।

 

তোফায়েল আহমেদ বলেন, মানুষকে শান্তি ও স্বস্তিতে রাখতে হবে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জোরাজুরি করে কোনও লাভ হবে না। তারা লাভ করুক, তবে সেটা হতে হবে সহনীয় মাত্রায়। বাজারে গুজব রটিয়ে যাতে আতঙ্ক না ছড়ায়, সেই বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।

 

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ভোক্তাদের স্বার্থ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তাই অন্য মাসের মতো রমজান মাসকে বিবেচনায় নেয়া যাবে না। গেল সঙ্কটে আমদানিকারক সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ সহায়তা করেছে। এসময় ভবিষ্যতে ও রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় ও যৌক্তিক রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

 

তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের তথ্য-উপাত্তের সমন্বয় নেই। সঠিক তথ্য না পেলে কখনই বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। কৃষি থেকে চাহিদার কোনও ফিডব্যাক পাই না। চাহিদা ঠিক কত, সেটি না জানালে আমদানি হবে কীভাবে?

 

পেঁয়াজ নিয়ে ভবিষ্যতে আবারও সর্তক হবার প্রয়োজন আছে এমন মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা। পেঁয়াজের ঘাটতির জন্য গত সপ্তাহে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দাম বেড়ে গেছে। বৃষ্টি হলেই পেঁয়াজ নিয়ে বেশি সমস্যা তৈরি হয়। এজন্য সবসময় সতর্ক দরকার বলে মনে করেন তারা।