Sharing is caring!

টিপু সুলতান, ভোলা জেলা প্রতিনিধি :
“সোনার বাংলায় মুজিব সমাজ কল্যাণ এগিয়ে চলে” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে র্যালী ও আলোচনা সভার মধ্যে দিয়ে ভোলায় পালিত হয়েছে জাতীয় সমাজ সেবা দিবস ২০২০। ২ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার সময় ভোলা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ভোলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য ভোলার জেলা প্রশাসক মোঃ মাসুদ আলম সিদ্দিক বলেন, সরকারের দায়িত্বশীল ভূমিকার কারনে দ্রুতই দারিদ্র বিমোচন হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সকল প্রতিবন্ধিদের ভাতার আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছে। বাড়ী বসেই ভাতা উত্তোলনের ব্যাবস্থাা করে দিয়েছে। তিনি বলেন, এসডিজির দুটি শর্ত অন্যতম। তার মধ্যে কাউকে পিছনে ফেলে উন্নয়ন নয় ও পরিবেশ বজায় রেখে উন্নয়ন। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে সমাজ সেবা অধিদপ্তর সহ সরকারের সকল দপ্তরই জনগনের কল্যাণে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তিনি সমাজ সেবার বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসুচি উল্লেখ করে বলেন, ভোলা জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে আর্থসামাজিক উন্নয়ন সেবামূলক কার্যক্রম/ দারিদ্র বিমোচন , সামাজিক নিরাপত্তা, সেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা সমুহকে নিবন্ধন ও সহায়তা, প্রতিবন্ধি ব্যাক্তির অধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়ন, শিশু অধিকার সুরক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষন ও কমিনিউটি ক্ষমতায়ন এবং স্বাস্থ্যসেবা ও সহায়তা কর্মসুচি গুলি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বিশেষ করে এর আওতায় ৯৭৬৫৬ জনকে প্রতি মাসে ৫ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা ও বছরে প্রায় ৬৬ কোটি টকা অর্থ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও স্বামী নিঃগৃহীতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতা, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর বয়স্ক/ বিশেষ ভাতা, হিজরা জনগোষ্ঠীর বয়স্ক/ বিশেষ ভাতা, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপবৃত্তি, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপবৃত্তি এবং হিজরা জনগোষ্ঠীদের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ভোলার নব উত্তরন সংস্থার সভাপতি ও ভোলা প্রেসক্লাব সভাপতি এম হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ আতাহার মিয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন, কাজী গোলাম কবির, এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তা,কর্মচারী,সাংবাদিক ও বিভিন্ন পর্যায়ের সুবিধাভোগীরা। সভার পুর্বে একটি র্যালী শহর প্রদক্ষীণ শেষে জেলা প্রশাসক কার্য়ালয়ের সামনে এসে উন্নয়নের প্রতীক বেলুন উড়িয়ে র্যালী সমাপ্ত করেন।