১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী পলাতক মানসুরকে পাকড়াও করা জরুরি।

প্রকাশিত আগস্ট ৩০, ২০২৪
চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী পলাতক মানসুরকে পাকড়াও করা জরুরি।

Sharing is caring!

শোয়েব হোসেন –

রাজধানীর উত্তরার ভয়ংকর সন্ত্রাসী ও অবৈধ সম্পদের মালিক আওয়ামীলীগ নেতা পলাতক মানসুর আহমেদ এর নানাবিধ অপকর্ম যুগ যুগ ধরে চলমান রয়েছে।উচিত বিচারের প্রত্যাশায় রাষ্ট্র ও জনতা।

জানা গেছে, এই মানসুর আহমেদের বাড়ি ভোলার তজিম উদ্দিন থানায়। সেখানকার হাসান নগর গ্রামের বড়ালগঞ্জ বাজারে তিনি ২০০৩ সাল পর্যন্ত ঔষধের দোকান দিয়ে বসেছেন। পরবর্তীতে মাত্র ২০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ঢাকায় এসে উত্তরায় রাজলক্ষ্মীর সীশেল রেস্টুরেন্টে ২০০৪ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত পিয়নের কাজ করতেন। ক্রমেই স্থানীয় বিভিন্ন প্রতাপশালী, ব্যবসায়ী ও নেতা-মাস্তান-সন্ত্রাসীদের সাথে সখ্যতা গড়েন এবং তাদের সহায়তায় কুখ্যাত ভূমিদস্যু, ভয়ংকর সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ (প্রাক্তন এমপি) হাবিব হাসানের সান্নিধ্য লাভ করেন। সুযোগ বুঝে মানসুর নানান কায়দায় অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও সন্ত্রাস সুলভ প্রতিভার উপমা দেখিয়ে হাবিব হাসানের ব্যক্তিগত সহচর তথা খাস লোকে পরিনত হন। অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি আওয়ামীপন্থী ব্যবসায়ীদের একত্র করে ধূর্ততার সাথে নিজেই সভাপতি সেজে এলাকায় ভয়ানক সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। তারপরই রহস্যজনকভাবে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে যান!

মানসুরের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে অনুসন্ধান করতে গেলে জানা যায়, উত্তরার প্রিয়াংকা সিটিতে প্রায় দুই বিঘা জমিতে গড়েছেন আলিশান ভবন। দ্রুত গতিতে এই মানসুর কোটি টাকা মূল্যের জমি ও ফ্লাট ক্রয় করেছেন বিভিন্ন স্থানে। তাছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংকে নামে-বেনামে রেখেছেন কোটি কোটি টাকা।মোটা অংকের ঘুষ খেয়ে এবং ঘুষ দিয়ে দালালি করে সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করেছেন নিজের আপন লোকসহ লীগপন্থি বহু মানুষ নামের অমানুষদের ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার বিভিন্ন জনগণ ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা জানান, এই মানসুর ভয়ংকর লোভী ও দুষ্টু প্রকৃতির।সে নানান অপকৌশলে ধূর্ততার সাথে বিভিন্ন সরল ব্যাক্তি ও ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে বড়ো মাপের উপরি গ্রহণ করে দিনকে দিন চরমভাবে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। যে কোন অসাধ্যকে টাকা কিংবা ক্ষমতার জোরে সাধন করা তার পক্ষে অসম্ভব কিছুই নয়। মানসুর একাধারে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যাবসায়ী, দালাল,প্রতারক, ঘুষখোর, কালোবাজারি ও দূর্নীতিবাজ বটেই। বিভিন্ন ভুক্তভোগী সকলের দশা এমনই যে কেউ কিছুই বলতেও পারেন না আবার সইতেও পারেন না!

জানা গেছে, দেশের বর্তমান সময় ও অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অন্যান্য লীগপন্থী মহাঅপরাধীদের মতই এই মানসুর আত্মগোপনে থাকলেও তার কুচক্রী কার্যকলাপ বিরতিহীন ভাবেই চলমান। নতুন রূপে সুযোগ-সন্ধানী হয়ে নিজকে বিএনপি দলীয় কর্মী হিসেবে দাবি করে সাধু সাজতে ব্যতিব্যস্ত এই মানসুর।সময়ের সাথে রঙ পাল্টাচ্ছেন সুবিধাবাদি মানসুর। যেকোনো সময়ে বা অসময়ে ঝোঁপ বুঝে কোপ মারতে নেই যেন তার কোন জুড়ি।আরো বিস্তারিত বিষয়ে মানসুরের বক্তব্য নিতে চাইলে তার মুঠোফোনে অনেকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

জনমনে প্রশ্ন, মানসুরের অপকর্মের শেষ কোথায়? কবে হবে তল্লাশী? তার অবৈধ সম্পত্তির সঠিক উৎস কি? তাকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না কেন? তাকে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় জবাবদিহিতা গ্রহণ সহ সম্পদের পাহাড়গুলো রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করতে বাঁধা কোথায়? কোন অপশক্তি কালোহাতের ছত্রছায়ায় সে আত্মগোপনে থেকেও অন্যদলীয় নেতা হওয়ার অপতৎপরতায় লিপ্ত? তার নাটের গুরুই বা কারা? কাদের ঈশারায় মানসুর অবিরাম ষড়যন্ত্রের নীল নকশা আঁকছেন? সমস্ত মনসুর বাহিনীকে পাকড়াও করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এখন সময়ের উপযুক্ত দাবি!

এই খবর প্রকাশ ও প্রচারের সাথে সাথে উচিত ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সকল প্রকার ছাত্রসমাজ, সেনাবাহিনী, প্রভাবশালী ও সচেতন মহলসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও দুদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে।