১৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

টমটম চালক থেকে কোটিপতি রুহুল কাদের

admin
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৭, ২০২০
টমটম চালক থেকে কোটিপতি রুহুল কাদের

Sharing is caring!

Manual5 Ad Code

সিদ্দিক আহমদ আতিক : প্রশাসনের নজরদারি জরুরি পেশায় টমটম চালক হলে ও পৌরসভার কুতুবদিয়া পাড়ার রুহুল কাদের এখন লক্ষপতি, প্রশাসনের নজরদারি জরুরি। কক্সবাজার পৌরসভার ১ নং ওয়াড়ের বাসিন্দা রুহুল কাদের পেশায় ছিল একজন টমটম চালক।

 

বর্তমানে কোটিপতি, আলীশান জীবনযাপন, রাজার হালে চলাচল। এলাকার নব্য মহাজন হিসেবে বেশ জনশ্রুতি আছে তার। কোনো জাদুর কাঠির ছোঁয়া নয়, ইয়াবা ব্যবসা করে হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে ওই টমটম চালক।

Manual2 Ad Code

 

Manual5 Ad Code

সমিতি পাড়ায় প্রতিনিয়তেই চায়ের দোকানের আড্ডায় মানুষের মুখে মুখে তার নাম। রুহুল কাদের কুতুবদিয়া পাড়া এলাকার ডা. নুরুল ইসলামের ছেলে। বর্তমানে বসবাস করে দক্ষিন-মধ্যম কুতুবদিয়া পাড়ায়।

Manual1 Ad Code

 

Manual7 Ad Code

সুত্রে জানা যায়, দুই বছর আগেও কক্সবাজার শহরে টমটম চালাত সে। ঢাকায় তার একজন নিকট আত্মীয় ব্যবসা করতো, সে সুবাদে ঢাকাতে ওই আত্মীয়ের কাছে মাস দুয়েক চাকরী করতো। পরে কক্সবাজার ফিরে আসেন। আসার কিছুদিন পর থেকেই তার রহস্যজনক পরিবর্তন তার।

 

এখন টেকনাফ থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট এনে ঢাকায় পাইকারি বিক্রি করে বলে জানা গেছে স্থানীয় সূত্রে। এ ভাবেই কৌশলে ইয়াবা ব্যবসা করে টমটম চালক থেকে কোটিপতি বনে গেছেন রুহুল কাদের।

 

শুটকি গুরার গাড়ি কার্গো সার্ভিসে করে এবং বিভিন্ন পরিবহনে করে দীর্ঘদিন ধরে এই ইয়াবা পাচার করে আসছে। নাজিরার টেক থেকে প্রতিনিয়ত শুটকি গুরা যাচ্ছে ঢাকায়। সে নিজেও শুটকি গুড়ার ব্যবসা করেন, আর ওই গাড়িতে করে সে ইয়াবা পাচার করে বলে জানা গেছে।

 

অনুসন্ধানে জানা যায় , পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড়ে গোদারপাড়া এলাকায় অর্ধকোটি টাকার জায়গা কিনছে সে। এছাড়া এলাকায় শুটকি ব্যবসায়ীদের সুদের মূলে লাখ লাখ টাকা দিয়েছে সে। আরো জানা যায়, তার এক নিকট আত্নীয়কে ৫ লাখ টাকা ধার দিয়েছে সে।

 

আরো জানাযায়, প্রায় সময় রুহুল কাদের বিকাশের দোকান প্র্যান্টস টেলিকম থেকে টাকা লেনদেন করে। সমিতিপাড়া প্র্যান্টস টেলিকম দোকানের বিকাশ এজেন্ডদার জহির বলেন, সে কিসের টাকা লেনদেন করে আমি জানিনা। তারঁ কাছে জিজ্ঞেস করেন।

 

নাম প্রকাশে অনিশ্চুক এক ব্যক্তি বলেন, রুহুল কাদেরের চলাফেরা রহস্যজনক, সে দুএকদিন পর পর রিজাভ গাড়ি নিয়ে তার বউ বাচ্ছা নিয়ে সন্ধ্যা হলে শহরের দিকে যায়, আবার কিছুক্ষন পর ফিরে আসে। এসময় আনেকে মন্তব্য করেন সে ইয়াবা নিয়ে কোন পরিবহনে যাচ্ছে। আর একথা একদিন আমি ওকে বললে সে আমার সাথে রাগ করে।

 

পরে এভাবে আর যায়না। মোটর সাইকেল নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রুহুল কাদের বলেন, আপনি কে? সংবাদকর্মী বলার সাথে সাথে মোবাইল ফোন কেটেন।

 

এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার (ওসি তদন্ত) মো. খায়রুজ্জামান বলেন, এখনো ওই রুহুল কাদের বিরুদ্ধে ইয়াবা সংক্রান্ত কোন অভিযোগ পায়নি। তারপরেও যদি জড়িত থাকে তদন্তর্পূবক ব্যবস্থা নেয়া হবে।