১৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

তিন এপিএসকে দুদকে তলব ক্যাসিনোকাণ্ডে তলব করা হতে পারে খোকনকেও

admin
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৫, ২০২০
তিন এপিএসকে দুদকে তলব ক্যাসিনোকাণ্ডে তলব করা হতে পারে খোকনকেও

Sharing is caring!

Manual5 Ad Code

মেয়র সাঈদ খোকন -ফাইল ছবি

 

অভিযোগ ডেস্ক : আলোচিত ক্যাসিনোকাণ্ডে এবার ফেঁসে যেতে পারেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন। ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তাকে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হতে পারে। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে এরইমধ্যে খোকনের একান্ত সচিব (এপিএস) শেখ কুদ্দুসসহ ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কার্যালয়ে তলব করেছে দুদক।

 

Manual7 Ad Code

 

দুদক সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত আলাদা চিঠিতে তাদের তলব করা হয়। তলব করা অন্য দু’জনের মধ্যে একজন হলেন জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিএ) এজাজ চৌধুরী এবং যুবলীগের সাবেক সহসম্পাদক মুন্সীগঞ্জের জাকির হোসেন। তাদের মধ্যে শেখ কুদ্দুস ও এজাজ চৌধুরীকে ২১ জানুয়ারি এবং জাকির হোসেনকে ২০ জানুয়ারি দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে। তাদের তলবের পাশাপাশি ডিএসসিসির মেয়র সাঈদ খোকন এবং জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধেও দুদক অনুসন্ধান করছে বলে জানা গেছে।

Manual4 Ad Code

 

Manual1 Ad Code

 

দুদকের তলব করা নোটিশে বলা হয়, ঠিকাদার জিকে শামীমসহ অন্যান্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের শত শত কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে বড় বড় ঠিকাদারি কাজ নিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্যাসিনো ব্যবসা করে শত শত কোটি টাকা অর্জন করে বিদেশে পাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের জন্য বক্তব্য রেকর্ড করে পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন। এরই ধারাবাহিকতায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে।

 

 

জানা গেছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে প্রথম দিনই রাজধানীর ইয়ংমেনস ফকিরাপুল ক্লাবে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে গ্রেফতার হন ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক (পরে বহিষ্কার করা হয়) খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন অভিযানে একে একে গ্রেফতার হন কথিত যুবলীগ নেতা ও ঠিকাদার এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীম, মোহামেডান ক্লাবের ডাইরেক্টর ইনচার্জ মো. লোকমান হোসেন ভূঁইয়া, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, সম্রাটের সহযোগী এনামুল হক আরমান, জাকির হোসেন, কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের সভাপতি মোহাম্মদ শফিকুল আলম (ফিরোজ), অনলাইন ক্যাসিনোর হোতা সেলিম প্রধান এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান (মিজান) ও তারেকুজ্জামান রাজীব। গ্রেফতার হওয়া এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বিপুল অর্থের মালিক হওয়া, অর্থপাচারসহ নানা অভিযোগ ওঠে। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের অপকর্মে সহযোগী ও পৃষ্ঠপোষক হিসেবে সংসদ সদস্য, রাজনীতিক, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্নজনের নাম উঠে আসে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তের পাশাপাশি তাদের অবৈধ সম্পদের খোঁজে মাঠে নামে দুদক।

 

 

গত ৩০ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়। পরে আরও দু’জনকে দলে যুক্ত করা হয়। দলের অন্য সদস্যরা হলেন- উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, আতাউর রহমান ও মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী। তাদের অনুসন্ধানে এবার ক্যাসিনোকাণ্ডে অবৈধ সম্পত্তি অর্জনে দক্ষিণের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের নামও পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছে দুদকের একাধিক সূত্র।

 

 

তবে শেখ কুদ্দুস নামে নিজের কোনো এপিএস নেই বলে জানিয়েছেন সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, দুদক কেন এ ঘটনার সঙ্গে আমার নাম জুড়ে দিয়েছে তা আমি জানি না। তবে শেখ কুদ্দুস নামে আমার কোনো এপিএস নেই।

Manual4 Ad Code