১৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৩শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

স্মৃতির সন্ধ্যায় সাম্য ও রিশার শেষ মুহূর্ত।

admin
প্রকাশিত মে ১৬, ২০২৫
স্মৃতির সন্ধ্যায় সাম্য ও রিশার শেষ মুহূর্ত।

Sharing is caring!

বিশেষ প্রতিনিধি।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঘন ছায়া তখন নিস্তব্ধ এক বিকেলের সাক্ষী। গাছপালার ফাঁকে ফাঁকে ছায়ার মতো দু’টি মুখ—একটি সাম্যর, অন্যটি রিশার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী, ছাত্রদলের নিবেদিতপ্রাণ কর্মী, স্বপ্নবান যুবক শাহরিয়ার আলম সাম্য ও তার প্রেমিকা রিশা। সাম্যর চোখে তখন ভবিষ্যতের রং। রিশা ছিল সেই রঙের সবচেয়ে উজ্জ্বল রেখা। হাতের মুঠোয় রাখা ছিল রিশার হাত, যেন বলছিল—‘তুমি আছো, তাই আমি আছি।’ তারা কথা বলছিল ভবিষ্যতের ঘর, চাকরি, রাজনীতি, ভালোবাসা, এমনকি একটি কুঁড়েঘরের স্বপ্ন নিয়েও। ঠিক সেই মুহূর্তেই ছায়ার আড়াল ভেদ করে হানা দেয় বর্বরতা। রাজনৈতিক বিদ্বেষের বিষ দাঁত ছড়িয়ে দেয় একদল দুর্বৃত্ত। ছুরিকাঘাতে লুটিয়ে পড়ে সাম্য। রিশার চিৎকার, কান্না, আকুতি ভেদ করতে পারেনি হিংস্র ঘাতকদের কানে। রক্তাক্ত মাটি জড়িয়ে রাখে সাম্যকে। তার গাঢ় চোখদুটো স্থির হয়ে যায় রিশার মুখে, যেন শেষবার বলছিল—‘তুমি কেঁদো না, রিশা।’ রিশা তখন বুকে মাথা রেখে সাম্যর রক্তাক্ত শরীর আগলে ধরে, জড়িয়ে ধরে সেই স্মৃতি, সেই ভালোবাসা, যা তাদের দুজনের ছিল একান্ত, একনিষ্ঠ। মানুষের জীবনে কিছু মুহূর্ত থাকে, যা ইতিহাস হয়ে ওঠে। সাম্য ও রিশার সেই বিকেলটি এখন আর শুধু একটি ব্যক্তিগত স্মৃতি নয়; সেটি হয়ে উঠেছে ভালোবাসা ও নৃশংসতার মুখোমুখি এক নির্মম ইতিহাস