Sharing is caring!

মোঃ আবুল হাশেম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি : বান্দরবানের লামা উপজেলায় চাঁদা না পেয়ে মেসার্স নাহার এন্টার প্রাইজ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী আজিজুর রহমানের ছোট ভাই মুজিবুর রহমানকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স নাহার এন্টার প্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী আজিজুর রহমান বাদী হয়ে লামা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি এজাহার দায়ের করেন। এতে শফিউল আলম নামের এক ব্যক্তিসহ ও অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাদীর আইনজীবী মোঃ ইব্রাহিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালত এজাহারটি আমলে নিয়েছেন। অভিযুক্তরা হলেন- লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মাষ্টার পাড়ায় বাসিন্দা মোঃ ইসমাইল কারবারীর ছেলে মোহাম্মদ শফিউল আলম (৩০) ও অজ্ঞাত ৪/৫ জন। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগকারী আজিজুর রহমান তাহার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স নাহার এন্টার প্রাইজ এর নামে লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে অবস্থিত মাতামুহুরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের কাজটি বরাদ্দ পায়। প্রায় ১ কোটি মূল্যমানের কাজটি ১৩/০৫/২০১৯ইং তারিখ লামা এলজিইডি অফিস থেকে কার্য্যাদেশ নিয়ে যথা নিয়মে কাজ শুরু করেন। বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজ চলমান অবস্থায় গত ১০/০৯/২০১৯ইং তারিখ সকাল ১০.০০ঘটিকার সময় স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ শফিউল আলম অজ্ঞাত আরো ৪/৫জন লোক নিয়ে ঠিকাদার আজিজুর রহমানের নিকট ২লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে এবং ঠিকাদারকে ঠিকাদারী করতে হলে তাদেরকে টাকা দিতে হবে বলে জানায় অন্যথায় নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। তারা ঠিকাদারকে প্রাণে হত্যা করে ফেলবেও হুমকি দেন অভিযোগে উল্লেখ করেন ঠিকাদার আজিজুর রহমান। আসামীদের দাবীকৃত ২লক্ষ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় শফিউল আলমের নের্তৃত্বে ১৫/০৯/২০১৯ইং তারিখ রাত আনুমানিক ১২.০০ঘটিকার সময় নির্মাণাধীন বিদ্যালয় ভবনের সেন্টারীং এর গাছসহ ৫০ হাজার টাকা মূল্যমানের মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এই বিষয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও রূপসীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানো হলে বিবাদী শফিউল আলম ক্ষিপ্ত হয়ে ১৬/০৯/২০১৯ইং তারিখ বিকাল ৪.৩০ঘটিকার সময় তাহার ভাড়াটে লোকজন নিয়ে এসে নির্মাণাধীন বিদ্যালয়ের ছাদে উঠে কাজ চলমান অবস্থায় মামলার বাদী আজিজুর রহমানের ছোট ভাই মজিবুর রহমানের মাধ্যমে আজিজুর রহমানের কাছে ২লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। অন্যথায় কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলে। ঠিকাদার আজিজুর রহমানের ছোট ভাই মজিবুর রহমান টাকা দিতে অস্বীকার করলে বিবাদী শফিউল আলম তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে আঘাত করে ও অজ্ঞাতনামা অন্যান্য আসামীরা মজিবুর রহমানকে কাঠের বাটাম দিয়ে আঘাত করে। এতে তার বাম কানের অধিকাংশ কেটে যায় ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক জখম হয়। পরে মজিবুর রহমানের আত্মচিৎকার শুনে রাজমেস্ত্রী ও স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন। বর্তমানে তিনি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিৎিসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে বিজ্ঞ আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ ইব্রাহিমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি উক্ত মামলাটি বিজ্ঞ আদালত এফআইআর হিসেবে গণ্য করার বিষয়টি সু-নিশ্চিত করেন। বিজ্ঞ আইনজীবি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন যে, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।