১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

অনৈতিক সম্পর্কের ভিডিও: সিলেটের সেই নারী কনস্টেবল ও রিজার্ভ ইন্সপেক্টর ক্লোজড

admin
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯
অনৈতিক সম্পর্কের ভিডিও: সিলেটের সেই নারী কনস্টেবল ও রিজার্ভ ইন্সপেক্টর ক্লোজড

Sharing is caring!

ছইল মিয়া সোহেল ::  সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) এক নারী কনস্টেবলের সঙ্গে রিজার্ভ অফিস ইন্সপেক্টর (আরওআই) গোবিন্দ শুক্ল দাসের অনৈতিক সম্পর্কের ভিডিওর সত্যতা পেয়ে দুজনকে ক্লোজড করা হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় এসএমপি কমিশনার গোলাম কিবরিয়া স্বাক্ষরিত পৃথক আদেশে ওই নারী কনস্টেবল ও আরওআই গোবিন্দ শুক্ল দাসকে ক্লোজড করা হয়।

এসএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া) জেদান আল মুসা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নৈতিক স্খলনের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় দুজনকে ক্লোজড করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে তাদের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর ‘কনস্টেবল আশরাফুলের মৃত্যু; পুলিশ দুর্ঘটনা বললেও স্বজনরা বলছে হত্যা। মোবাইল ফোনে আরওআইর সঙ্গে স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্কের ভিডিও’ শিরোনামে প্রতিবেদন ছাপা হয়।

এরপরই নড়েচড়ে বসে এসএমপি পুলিশ। সেদিনই আশরাফুলের সড়ক দুর্ঘটনার মামলা তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে দায়িত্ব দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ১২ জুন রাতে কনস্টেবল আশরাফুলের কথিত স্ত্রী এসএমপির এক নারী কনস্টেবলের সঙ্গে আরওআই গোবিন্দ শুল্ক দাসের অনৈতিক সম্পর্কের অশ্লীল ভিডিও ধারণ করেন আশরাফুল নিজেই। পরে আরওআই গোবিন্দ শুক্ল দাসকে বেধড়ক মারধর করেন আশরাফুল। সেই ভিডিও থেকে যায় তার মোবাইলে।

গত ১৮ আগস্ট গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে সিলেটে কর্মস্থলে ফেরার পথে হবিগঞ্জের বাহুবলে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান আশরাফুল। কিন্তু তার শরীরে কোনো আঘাত না থাকায় সন্দেহ হয় পরিবারের। পরে হাইওয়ে পুলিশ আশরাফুলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি তার পরিবারের কাছে ফেরত দেয়।

সেই মোবাইলে থাকা তিনটি ভিডিও ক্লিপ আশরাফুলের মৃত্যু সড়ক দুর্ঘটনা না হত্যা- এ নিয়ে সন্দেহ হয় পরিবারের কাছে। আশরাফুলের বড় ভাই মনিরুল ইসলাম এবং তার চাচাতো ভাই শফিকুল ইসলাম গত ৪ সেপ্টেম্বর সিলেটে এসে ৩টি ভিডিও ক্লিপ এসএমপি পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়ার হাতে তুলে দেন এবং তাদের সন্দেহের কথা জানান।

রহস্যজনক কারণে দুই পুলিশ সদস্যের নৈতিক স্খলনের ভিডিও হাতে পেয়েও ১০ দিনে কোনো ব্যবস্থা নেননি এসএমপি কমিশনার। গত ১৪ সেপ্টেম্বর একটি পত্রিকার ব্যুরো অফিসে আসে ভিডিওগুলো। এ নিয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন ছাপা হয়। এরপরই নড়েচড়ে বসে এসএমপি পুলিশ। আশরাফুলের সড়ক দুর্ঘটনার মামলা তদন্তের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দেয়া হয়। আর প্রতিবেদন ছাপা হওয়ার ১০ দিন পর নৈতিক স্খলনের অপরাধী ওই নারী কনস্টেবল ও আরওআই গোবিন্দকে ক্লোজড করা হয়।