১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

রাজশাহীতে দোকান ভেঙে লুটপাটের অভিযোগে ভুক্তভোগী দু’জন ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন।

প্রকাশিত আগস্ট ২, ২০২৪
রাজশাহীতে দোকান ভেঙে লুটপাটের অভিযোগে ভুক্তভোগী দু’জন ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন।

Sharing is caring!

মোঃ মেহেদী হাসান মুন্না, রাজশাহী:

রাজশাহী মহানগরীর  দুটি দোকান জবরদখল করে লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে শুক্রবার দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নে সংবাদ সম্মেলন করেছে  ভুক্তভোগী দু’জন ব্যবসায়ী।

লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী এনাম আহম্মেদ চৌধুরী (তিতাস) জানান, আমরা কয়েকজন দোকানী দীর্ঘ ৩৮ বছর যাবৎ রাজশাহী নিউ মার্কেট ইসলামিক ব্যাংক শাখার অপজিটে ফজলার সুপার মার্কেটে  দোকান ঘরের পজিশন ক্রয় করে বৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। তবে, বেশ কিছু দিন আগে   ষষ্ঠীতলা জেলাপাড়া এলাকার  রাহাত, মেঘলা, শিমুল ও রাহাতের মা আমাদের কাছে  হঠাৎ  চাঁদা দাবী করে।  এসময় তারা চাঁদা না দিলে দোকান দখল করার হুমকি ধামকি ও ভয়ভিতি দেখায়।

পরবর্তীতে তাদের চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত ১৯ জুলাই  রাত ১ টার পর তারা দোকানের তালা ভেঙ্গে তাদের নিজস্ব তালা লাগিয়ে দেয় এবং ইট, খোয়া ও সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করে দেয়। পরে সকালে দোকানে গিয়ে এ অবস্থা দেখে বোয়ালিয়া থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করি। এ সময় কর্তব্যরত অফিসার বলেছিলেন বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু এখন অবধি কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।  পরে ২৪ জুলাই আবারও ব্যবস্থা নেয়ার জন্য থানায়  অভিযোগ দেওয়া হয়।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, সর্বশেষ ২ আগস্ট  সকালে দোকানের সামনে গিয়ে দেখি  অবৈধ দখলদাররা দুটি দোকানের সাটার, দেয়াল ও তালা ভেঙ্গে নগদ টাকা ও মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।  প্রশ্ন হচ্ছে  কোন অদৃশ্য শক্তির ইশারায়  তারা একের পর এক  অবৈধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। আমরা সেটির ব্যাপারে  বোধগম্য নয়। চলমান এই কর্মকাণ্ডের কারণে  আমরা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছি।

এসময় রাজশাহী মহাগর পুলিশ কমিশনারের কাছে  দুটি  দোকান উদ্ধার ও  চাঁদাবাজদের  আইনের  আওতায় এনে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানান  ভুক্তভোগী এই ব্যবসায়ী। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী আহম্মেদ হোসেন মামুনসহ দোকান দুটির কর্মচারীরা।

এ বিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ হুমায়ুন কবির বলেন, অভিযোগ পেয়েছি৷ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে৷