Sharing is caring!
স্টাফ রিপোর্টার, শেখ আসাদুজ্জামান আহমেদ টিটু
ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্দা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিউয়নের জামালপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে।
জান্নাতি আকতার ফাতেমা (২১) নামের প্রতিষ্ঠানটির সাবেক এক শিক্ষার্থী হঠাৎ বিদ্যালয়ে ঢুকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটান। আহতদের মধ্যে তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।হাসপাতালে ভর্তি তিন শিক্ষার্থী হলো সেতু খাতুন, মিতু আক্তার ও রাবেয়া খাতুন। তারা তিনজনই ওই বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। ছুরির আঘাতে সেতুর বাম হাত, মিতুর পিঠ এবং রাবেয়ার দুই পা ও মাথায় জখম হয়। সিমা আক্তার নামের আরেকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনার পর স্থানীয়রা অভিযুক্ত জান্নাতি আক্তার ফাতেমাকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেন। তিনি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের ফুল মিয়ার মেয়ে ও ইসবপুর গ্রামের আশিক মিয়ার স্ত্রী। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকরা জানান, প্রতিদিনের মতো বিদ্যালয়ে ক্লাস চলছিল। ক্লাস চলার ফাঁকে কয়েকজন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের বারান্দায় বসে গল্প করছিল। এসময় হঠাৎ জান্নাতি আক্তার বিদ্যালয়ে ঢুকে তার হাতে থাকা ধারালো একটি ছুরি দিয়ে শিক্ষার্থীদের আঘাত করেন। পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ওই নারীকে আটক করেন। ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন বলে কেউ কেউ দাবি করেছেন। এ বিষয়ে জামালপুর ইউনিয়নের মেম্বার রনজু মিয়া বলেন, ‘জান্নাতি আক্তার আমার এলাকার সন্তান। তিনি একজন মানসিক রোগী। প্রায় দেড় বছর আগে তার বিয়ে হয়। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলার কারণে জান্নাতি বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন। জামালপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আনজারুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয় চলাকালীন জান্নাতি নামের এক নারী হঠাৎ প্রতিষ্ঠানে ঢুকে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করেছেন। জানতে চাইলে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত নারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার কাছে থাকা একটি ছুরি (চাকু) উদ্ধার করা হয়েছে। তী কারণে তিনি এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন তা জানতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।