২৪শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

নন্দীগ্রামের অদম্য মেধাবী খাদিজা খাতুন এখন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক

admin
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪
নন্দীগ্রামের অদম্য মেধাবী খাদিজা খাতুন এখন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক

Sharing is caring!

আরাফাত হোসেন: বগুড়া জেলা নন্দীগ্রাম উপজেলার ৪ নং থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের দাড়িয়াপুর গ্রামে মোছা: খাদিজা খাতুন নিম্ন মধ্যবিত্ত একটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মোহাম্মদ বেলাল হোসেন পেশায় একজন সাধারণ কৃষক এবং মা মরহুমা মোছা: সাহেরা বিবি অতিসাধারণ এক গৃহিণী ছিলেন।দুই ভাই বোনের মধ্যে তিনি প্রথম সন্তান।ছোট ভাইও একই বিশ্ববিদ্যালয় পশুপালন অনুষদের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী হিসেবে বর্তমান অধ্যয়নরত।খাদিজা খাতুন দেশের কৃষিশিক্ষা ও গবেষণার আতুরঘর নামে খ্যাত,বাংলাদেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির পর থেকেই বাধা বিপদ পেরিয়ে খাদিজা খাতুনের স্বপ্ন জয়ের গল্প।স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে প্রশংসনীয় মেধা পরিচয় দিয়ে হয়েছেন নিজেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।বলেছিলাম ময়মনসিংহে অবস্থিত দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের লেকচার জনাব মোছা: খাদিজা খাতুন।

পড়াশোনায় হাতেখড়ি শুরু হয় নিজ গ্রামে অবস্থিত দারিয়াপুর সরকারী প্রার্থমিক বিদ্যালয় থেকে। এরপর ২০১০ সালে কড়ইহাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এস.এস.সি. পরীক্ষায় জিপিএ-৫ এবং ২০১২ সালে বগুড়ার, সরকারী মুজিবুর রহমান মহিলা কলেজ থেকে ৫ জিপিএ নিয়ে কলেজ জীবন শেষ করেন। পড়াশোনার সর্ব স্তরেই নিজের সেরাটা দিয়েছেন জনাব খাদিজা খাতুন । ভালো ফলাফলের সাফল্যসরূপ তিনি পরপর ২ বার উচ্চ মাধ্যমিক (২০১০-১২) ও স্নাতক (২০১২-২০১৬)পর্যায়ে ডাচ্ বাংলা ব্যাংক কর্তৃক সম্মানজনক শিক্ষাবৃত্তির জন্য মনোনিত হয়েছিলেন। আমার খাদিজার জন্য দোয়া করবো যে তিনি আমাদের বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছু করেন।

২০১৮ সালে ভালো সিজিপিএ নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করেন এবং শীর্ষ ৭ শতাংশে স্থান অর্জন করে নেন। এরপর ২০২০ সালে বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ থেকে স্নাতোকোত্তর সম্পন্ন করেন। স্নাতোকোত্তর চলাকালে গবেষণার জন্যে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি(NST)ফেলোশিপ প্রাপ্ত হন এবং ৫ই মার্চ, ২০২০ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক এনএসটি ফেলোশিপ গবেষণা অনুদান গ্রহন করেন।