Sharing is caring!

:ইমরান হোসেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মল্লিকপাড়া জামে মসজিদের ইমাম দিদারুল ইসলামকে জবাই করে হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ঘাতক ওয়াহিদুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৮ আগস্ট) ভোরে তাকে মাদারীপুর শিবচর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী ইমামকে হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের মল্লিকপাড়া বাইতুল জালাল জামে মসজিদের ইমাম দিদারুল ইসলামের কাছ থেকে টাকা ধার নেন তার বন্ধু ওয়াহিদুজ্জামান। নিহত ইমাম দিদারুল ইসলাম দীর্ঘ দিন ধরেই তার পাওনা টাকা চেয়ে আসছিলেন। ওয়াহিদুজ্জামান মাদারীপুর শিবচর এলাকার একটি মসজিদের ইমাম। গত বুধবার (২১ আগস্ট) রাতে মল্লিকপাড়া মসজিদের ইমাম দিদারুল ইসলামের কাছে আসার সময় তার বন্ধু ওয়াহিদুজ্জামান দুটি কোকের বোতল নিয়ে আসেন। এর মধ্যে একটি বোতলে ঘুমের ঔষুধ মিশানো ছিল। ঘুমের ওষুধ মিশানো বোতলটি ইমাম দিদারুল ইসলামকে খেতে দেওয়া হয় এবং অন্য বোতলটি সে নিজে খায়। খাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে দিদারুল ইসলাম ঘুমিয়ে পড়লে তার শয়ন কক্ষে রাখা কোরবানীর পশু জবাইয়ের ছুড়ি দিয়ে তাকে জবাই করে। পরে ঘাতকের রক্তমাখা লুঙ্গি ও দুটি কোকের বোতল মসজিদের পাশের ডোবায় ফেলে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরের দিন নিহত ইমাম দিদারুল ইসলামের ভাই মিজানুর রহমার বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে সোনারগাঁ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত দিদারুল ইসলাম খুলনা তেরোখাদা গ্রামের আফতাব ফরাজীর ছেলে।
এদিকে ঘটনার ৬ দিন পর সোনারগাঁ থানার (এসআই) আবুল কালাম আজাদ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে মাদারীপুর এলাকা থেকে দিদারুল ইসলামের খুনী ওয়াহিদুজ্জামানকে গ্রেফতার করে। পরে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বুধবার দুপুরে মল্লিকপাড়া মসজিদের পাশের ডোবা থেকে রক্তমাখা লুঙ্গি ও কোকের দুটি বোতল আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়।পরে তাকে হত্যার বিস্তারিত বিবরনের দেওয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদের কার্যালয়ে নেওয়া হয়।